ভালুকায় সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ।
আপডেট সময় :
২০২৫-০৭-২৬ ১৭:০৬:২৬
ভালুকায় সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ।
ভালুকা প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে প্রধান শিক্ষক বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, পাঁচগাঁও সানরাইজ উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও আয়া এই ৩টি পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুল মতিন, স্কুল কমিটির সভাপতি আবু হানিফ, সদস্য বুলবুল ইসলাম ও ফেরদৌস কবির বিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগের জন্য একত্রে অফিস সহায়ক পদে গোলাম রব্বানী (রুন্টি)'র কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে লতিফের কাছ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, আয়া পদে রিমার কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এছাড়াও, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন আয়া পদে স্থানীয় শুক্কুর আলীর মেয়েকে নিয়োগ দিবার আশ্বাস দিয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন । পরবর্তীতে তাকে নিয়োগ না দেওয়ায় ভুক্তভোগী প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায়, তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আলীনূর খান অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ার পর প্রধান শিক্ষককে টাকা ফেরত দিতে চাপ প্রয়োগ করলে আব্দুল মতিন ভুক্তভোগী শুক্কুর আলীকে এক লাখ ঊনষাট হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
বিদ্যালয়ের জমি আত্মসাতের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক উৎপ্রুতভাবে জড়িত ছিলেন, বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী শুক্কুর আলী বাকি টাকা চাইতে গেলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এই শিক্ষক। এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগীসহ এলাকার বেশ কয়েকজনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তাদেরকে হয়রানি করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষক যখন দূর্নীতিবাজ হয়ে উঠে তখন সেই জাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। এলাকাবাসী এবং সচেতন মহলের দাবি এমন দুর্নীতিবাজ শিক্ষককে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক
এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাহ মোঃ আব্দুল মতিন ঘুষ নিয়ে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত তরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স