হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারী এলাকায় রাতের আধারে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কলা বাগানের ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও বাগানের পাশে থাকা দোকান ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় আবু হেনা মোস্তফা কামাল সহ ৫/৭ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষ দর্শীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ জুলাই রাত দেড়টার দিকে পশ্চিম বাইশরী সাংবাদিক আবদুল হামিদের ভোগ দখলীয় জায়গায় সৃজিত কলা বাগান ও দোকানঘরে।
প্রত্যক্ষদর্শী গাড়ী চালক নেয়ামতুল্লাহ, প্রকাশ পেটান, মোরশেদ ও হাবিবুল্লাহ জানান, রাতে গাড়ী রেখে বাসায় ফেরার পথে তারা দেখতে পায় কলা বাগানের ভিতর কিছু লোকজন ঘেরাবেড়া ভাংচুর সহ পাশে অবস্থিত দোকান ঘরে লুটপাট চালানোর শব্দ। ঐ সময় তারা জিজ্ঞেস করলে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে প্রত্যক্ষ দর্শীরা ও পিছু ছুটলে বাইশারী বাজার সংলগ্ন ব্রীজের পাশে গিয়ে সন্ত্রাসীরা দা হাতে নিয়ে বলে কাছে আসলে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করবে।
ঐ সময় তাদের কে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ভাংচুর কারীদের মধ্যে রয়েছ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, তার পিতা নুরুল বশর, চাচা নুরুল আলম খলিফা ও তার ছেলে তুহিন সহ অজ্ঞাত নামা আরো তিনজন।
বিষয়টি সাংবাদিক আবদুল হামিদ বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আবদুল করিম বান্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পান।
বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম বান্টু জানান, অভিযুক্ত নুরুল বশরকে ঘেরাবেড়া মেরামত সহ মালামাল ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে ক্ষতি গ্রস্থ বাগান ও দোকান মালিক সাংবাদিক আবদুল হামিদ জানান, বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিববার সন্ত্রাসী আবু হেনা মোস্তফা কামাল সহ ভাংচুর ও দোকানঘর লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।