জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলায় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে দু'টোই পাকা সড়কে উল্টে গিয়ে অটোরিকশার ১ চালক, অটোরিকশায় থাকা ৩ জন এইচএসসি ও ১ জন স্কুল পরীক্ষার্থী ও ১ জন সাধারণ যাত্রীসহ মোট ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিশাত মিয়া (১৭) ও অটোরিকশাচালক সুলতান মিয়াকে (৩৩) উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।
অপর আহত এইচএসসি পরীক্ষার্থী রবিউল আওয়াল (১৮) ও সূচনা বেগম (১৮) এবং স্কুলশিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার (১৩) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছে আহত সাধারণ যাত্রী সাব্বির হোসেন (২৭)।
আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে উরফা ইউনিয়নের বারমাইশা গ্রামের জনৈক সুলতান মাহমুদের বাড়ির সামনে পাকা সড়কের উপর ওই ঘটনা ঘটে।
আহত অটোচালক সুলতান এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিশাত ও রবিউল এবং স্কুলশিক্ষার্থী মারিয়ার বাড়ি উরফা ইউনিয়নের রাণীশিমুল এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী সূচনার বাড়ি উরফা গ্রামে। আহত সাধারণ যাত্রী সাব্বিরের বাড়ী নকলা পৌরসভার ফেরুষা মহল্লায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে রাণীশিমুল গ্রামের দরপট বাজার থেকে চালক সুলতানের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিশাত, রবিউল ও সূচনা পরীক্ষায় অংশ নিতে এবং স্কুলশিক্ষার্থী মারিয়া স্কুল পরীক্ষায় অংশ নিতে নকলা উপজেলা সদরে আসছিল।
অপরদিকে সাধারণ যাত্রী সাব্বির নকলা পৌরশহর থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে উরফা ইউনিয়নের বারমাইশা বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বারমাইশা গ্রামের জনৈক সুলতান মাহমুদের বাড়ির সামনে একটি অটোরিকশা আরেকটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে দু'টোই সড়কে উল্টে যায়।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আহতদের চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্র জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহত পরীক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আহত পরীক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে তাদেরকে সুস্থ্য করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। তবে আহত একজন পরীক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জরুরিভিত্তিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।