ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ , ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ৪ মাসে ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল-প্রকৌশলী বলছেন সমস্যা নাই জামানত আছে


আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-২৬ ১১:৪০:৪৪
রাণীশংকৈলে নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ৪ মাসে ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল-প্রকৌশলী বলছেন সমস্যা নাই জামানত আছে রাণীশংকৈলে নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ৪ মাসে ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল-প্রকৌশলী বলছেন সমস্যা নাই জামানত আছে
 
 
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে বাজেবকসা গ্রামে নির্মিত একটি ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়েছে। এমনকি ব্রীজের বিভিন্ন অংশেও দেখা দিয়েছে ফাটল।
 

২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও শেষ করা হয় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে যেতেই ব্রীজের এক পাশের প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে (প্লাসাইটিং) পড়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজের কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই কালভার্টটি ভেঙে গিয়েছে।

  
এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে সেতু-২০ মিটার দৈর্ঘ্য আর,সি,সি,গার্ডার ব্রীজ মীরডাঙ্গী হাট জিসি রোড চেইনেজ বাজেবকসা গ্রামে, নীলফামারী এস,এ,এন্ড আর,এ,টি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২,৩৬,৬৪,৯২৭,৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে (৫৪৪০) মিটার একটি কালভার্ট নির্মাণ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কালভার্টটির নকশা ও প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করে কাজটি নির্মাণে তদারকি করেন। 

 
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল, ধনজয়, ভুপেন, কারক, জীতুন, ও পথচারী রফিক, তাহের আবুল কাশেম ও ডিগেন চন্দ্র রায় বলেন, এ রাস্তা দিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোক এবং গাড়ী, আসা-যাওয়া করে। সপ্তাহে একদিন বড় হাট কাতিহার সে দিন আরো ভীড় জমে, এছাড়া রবি শস্য ও বোরো ধানের মৌসুমে বিল (ফসলের মাঠ) থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে ফসল নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ব্রীজটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কাজ চলমান অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলী ঠিক মতো তদারকি না করায় আজ এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। ব্রীজটি নুতন করে নির্মাণ করে দেওয়ার দাবিও জানান তারা। 

 
এ নিয়ে ব্রীজ নির্মাণ মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, নির্মাণের পর এত দ্রুত কালভার্ট ব্রীজটি এরকম হওয়ার কথা না, এখানে ঠিকমত কাজ এবং রোলিং না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে ব্রীজের পাশ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে কিছু মাটি কেটে দুই পাশে ফেলে রোলার মেরে ঢালাই দিলে আজ এই রকম হতো না। তাছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে ব্রীজের দুপাশে ফাটল ধরেছে । 

 
এত অল্প সময়ে ব্রীজের ফাটল ও প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়ার কারণ মুঠোফোনে ঠিকাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, ফাটলের বিষয়টি ইতোমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি। সংশ্লিষ্ঠ্য ঠিকাদার তুহিন কে অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে, সময়ের মধ্যে মেরামত না করলে তার ১০-১২ লক্ষ টাকা জামানত আছে তা কর্তন করে কাজ মেরামত করা হবে।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ