নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সিগঞ্জের সদরের প্রবাস ফেরত যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, র‌্যাব এর অভিযানে আসামী গ্রেফতার ১।


র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ১১৯ জন, আরসা সদস্য-১৫ জন, হত্যা মামলায় ১৪০ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৫৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ১৯ জন গ্রেফতারসহ ৯১ টি অস্ত্র, ১২৯৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ৩১৯ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব-১১। পাশাপাশি ৪৯ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৫৮ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৬৫ জন, জেল পলাতক ৩৭ জন, প্রতারণার আসামী-১৩ জন সহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ৩২২ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র‌্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। 


গত ১৩ জুন ২০২৩ দিবাগত রাত ২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি এলাকায় একটি হত্যার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনা, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন,


যার মামলা নং-২৮(৬)২৩ জিআর-২৮৩/২৩, ধারা- ৪৪৮/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহাদাত বেপারী (৪৬) এর নামে বিজ্ঞ আদালত হতে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হলে আসামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। 


ঘটনা সূত্র ও এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, ভিকটিম শ্যামল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের পূর্বরাখি গ্রামের মৃত আব্দুল গনি বেপারীর ছেলে। সে দীর্ঘ দিন মালয়েশিয়াতে কর্মরত ছিল। খুন হওয়ার ০৬ মাস আগে দেশে আসে। ২০২৩ সালে জুনের ১৩ তারিখ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ বসতঘরে তিনি একা ঘুমিয়ে ছিলেন।


এসময় একই গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত বেপারী, ইব্রাহিম বেপারী, তার ভাগিনা হাবিব ও মহিউদ্দিন বেপারীসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা শ্যামলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


পুলিশ সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মর্গে প্রেরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-২৮(৬)২৩ জিআর-২৮৩/২৩, ধারা-৪৪৮/৩০২/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহাদাত বেপারী (৪৬) এর নামে বিজ্ঞ আদালত হতে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হলে আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ছায়া তদন্ত শুরু করে।


পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক আসামী মোঃ শাহাদাত বেপারী (৪৬), পিতা-মোঃ শামছুজ্জামান বেপারী , সাং- দেওয়ানকান্দি, থানা- মুন্সিগঞ্জ সদর, জেলা- মুন্সিগঞ্জ’কে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরানী বাজার এলাকা হতে ২০/০৬/২০২৫ ইং তারিখ ১৮৫০ ঘটিকায় র‌্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এবং র‌্যাব-০৪, সিপিসি-২, সাভার এর যৌথ আভিযানিক দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।


উল্লেখ্য যে, আসামীর বিরূদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় হত্যাও হত্যা চেষ্টাসহ, বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। ৫। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।