রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরে বদরগঞ্জে পুত্র বধুকে আনতে গিয়ে গুরতর মারধর শিকার হলেন ছেলের বাবা। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে গত রবিবার ১৫ জুন উপজেলা মধুপুর ইউনিয়ন ময়নাকুড়ি গুচ্ছ গ্রামে।
এ ঘটনায়, ভুক্তভোগী মিজানুর শাহিন মিয়াকে প্রধান করে ১৮ জনের নামে বদরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গুরতর আহত মিজানুর সারা শরীরে তীব্র ব্যাথা নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১০ মাস আগে কালুপাড়ার ইউনিয়ন শংকরপুর মধ্যপাড়া(গড়পাড়া) গ্রামের মিজানুর ছেলে মাসুম বাবু সঙ্গে পাশ্ববর্তী মধুপুর ইউনিয়ন ময়নাকুড়ি গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা পালিত বাবার শাহিন এর নাবালিকা কন্যা রহিমা বেগম এর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ে পক্ষকে জানানো হয় ছেলে বাক প্রতিবন্ধী। তারপর ও তারা এবিয়েতে রাজি হন।
বিয়ের ১০ মাসের মধ্যে ছেলের বাক প্রতিবন্ধীর অজুহাত দেখিয়ে নাবালিকা মেয়ে রহিমা ও তার পালিত পিতা শাহিন মিয়া মা জয়গন বেগম টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসিতেছে। কারনে অকারণে কয়েক দফায় ছেলের বাবার কাছ থেকে ৪ লক্ষ অধিক টাকা চায়।
এতে মিজানুর ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ার এবং বংশ রক্ষার জন্য পালিত পিতা শাহিনকে বিভিন্ন ভাবে টাকা দেন।লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, গত ১২ জুন বিবাদী কয়েকজন নাবালিকা কন্যা রহিমাকে ছেলের বাসা থেকে কৌশলে মেয়ের বাসায় ময়নাকুড়ি গুচ্ছ গ্রামে নিয়ে যান।
পরে পালিত পিতা শাহিন ও তার স্ত্রী জয়গন বেগম মুঠোফোন বলেন, মেয়েকে নিয়ে যেতে হলে আমাকে ও আমার ছেলে মাসুম বাবুকে যেয়ে আনতে হবে। ঘটনার দিনে ১৫ জুন সোমবার ছেলে মাসুম বাবুকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মেয়েকে আনতে যাই। ঘটনাস্থল গুচ্ছ গ্রামে আগে থেকে থাকা ২ নং বিবাদী মনির ও রেজওয়ান আমাকে ও আমার ছেলেকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পালিত পিতা শাহিন নেতৃত্ব সকল বিবাদীরা আমাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি সারা শরীরে পেটাতে থাকে। এতে আমার কোমড়সহ সারা শরীরে প্রচুর আঘাতের ফলে তীব্র ব্যথা ছটফট করতে থাকি।
এরপর ৪ নং বিবাদী রিপন মাছ মারা খোঁচা দিয়ে আমার দুই পায়ে আঘাত করে। এতে আমি সোজা হয়ে হাঠতে পারছি না।আমি হাসপাতালে এখন সারা শরীরে অসহ্য ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।
বদরগঞ্জ হাসপাতালে আরএম চিকিৎসক শাকিল মোবাশ্বের জানান, মিজানুর নামে এক ব্যাক্তির সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও তার কোমড়ের সমস্যা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে পালিত পিতা শাহিন মিয়া ও তার লোকজন সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বাড়িতে গেলে তালাবদ্ধ থাকে।
বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম আতিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।