বানারীপাড়ায় নদীর চরের মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগে ৬ ট্রলারসহ ইটভাটার ১৪ শ্রমিক আটক
বানারীপাড়ায় নদীর চরের মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগে ৬ ট্রলারসহ ইটভাটার ১৪ শ্রমিক আটক
রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় ইট তৈরীর জন্য সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামের মেসার্স শুভ এন্টারপ্রাইজ নামক ইটভাটার ১৪ শ্রমিককে ৬টি মাটি ভর্তি ট্রলারসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। কার্যক্রম নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বানারীপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ জলিল ঘরামী ওই ইট ভাটার মালিক।
আটককৃত শ্রমিকরা হলেন, আল-আমিন খান (২৬), মো. বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো.নুরুজ্জামান (২৬), মো. আব্দুল হাই (২৮) ফরিদ হোসেন (৪৫).আ.মজিদ (৪০). মো. ইউসুফ আলী (২৮) ,মো.শরিফুল ইসলাম (৩০), মো. মাসুম বিল্লাহ্ গাজী (২২), মো.হযরত বিল্লাহ (৩৭), মো. নুরুল হক (৩১),ইসরাফিল খান (৪০),মো, ইশার আলী (৩৮),মো. ইসমাইল গাজী (৩৮)।
আসামীদের বাড়ি সাতক্ষিরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকায়। সোমবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দত্তপাড়া এলাকার সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি কেটে নেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটি ভর্তি স্টীল বডির ৬টি ট্রলারসহ ওই ১৪ শ্রমিককে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিন (সোমবার) দুপুরে তাদেরকে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ইটভাটার মালিক আ.জলিল ঘরামীর ছেলে ও ভাটার পরিচালক সৌরভ ঘরামী জানান, ভাটার জন্য নদীর চরের মাটি নয়,ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মাটি তারা ক্রয় করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, সন্ধ্যা নদীর চরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার সময় মাটি ভর্তি ৬টি ট্রলারসহ ১৪ শ্রমিককে আটক করার পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলার ইটভাটাগুলোর ইট তৈরীর জন্য নদীর তীরে জেগে ওঠা চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় নদীর ভাঙন তীব্ররূপ ধারণ করে শত শত পরিবার নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েছেন। আর ভাটার মালিক ও মাটি বিক্রেতারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চিহিৃত চক্র বছরের পর বছর ধরে সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন এলাকার চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছেন। আবার অনেক ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি ভেক্যু ও শ্রমিক দিয়ে চর ও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগতো রয়েছেই।
উল্লেখ্য, বানারীপাড়া উপজেলার সিংহভাগ ইটভাটার বৈধতা নেই।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স