ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ , ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার ছেলের আর বিদেশে যাওয়া হলো, ত্রিশালে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-১৭ ০০:৫৩:০৫
আমার ছেলের আর বিদেশে যাওয়া হলো, ত্রিশালে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার। আমার ছেলের আর বিদেশে যাওয়া হলো, ত্রিশালে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার।
 
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ ত্রিশাল  উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়ন মাগুরজোড়া কানারঘাট এলাকার একটি ইট ভাটার গর্তে মুখমণ্ডল ডুবন্ত অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 
নিহত যুবকের নাম হাফিজুল ইসলাম রনি (২৩)। সে স্থানীয় আব্দুল কাদেরের ছেলে। 

 
সোমবার (১৬ জুন) সকালে এলাকাবাসী কানারঘাট ইটখোলার পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান।

 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাফিজুল ইসলাম রনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। হঠাৎ এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।

 
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাফিজুল ইসলাম রনি সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তার কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন ছিল। 


নিহতের বড় বোন সুমা আক্তার বলেন, আমার ভাই গতকাল রাত ১০টার দিকে বিকাশ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে আমার আব্বার হাতে দেয় বাকী বেশ কিছু টাকা  তার বিকাশে জমা ছিলো। আমার আব্বা টাকা নিয়ে বাড়ি চলে আসে সে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়। সারা রাত আর বাসায় আসে নাই সকালে আমার বাবা শুনতে পাই ইটভাটার এখানে একটি মরদেহ পড়ে আছে দেখতে গিয়ে দেখেন আমার ভাই। আমার ভাইকে কে-বা কারা মেরে  ফেলে রেখে গেছে  আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।

 
নিহতের বাবা আব্দুল কাদির বলেন, আমার বড় ছেলে সাদিকুল ইসলাম পলাশ সৌদি আরব থেকে তাঁর বিকাশে টাকা পাঠিয়ে ছিলো সে টাকা থেকে  আমাকে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেয় বাকী টাকা তার বিকাশে ছিলো। আমার এই ছেলেটা আর কিছু দিন পরে সৌদি আরব চলে যেতো। আমার ছেলের আর বিদেশ যাওয়া হলো না। এই ছেলেটা আমার সংসারের সমস্ত কাজ করতো। কে-বা কারা আমার ছেলেটাকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। 

 
এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।

 
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ বলেন, “মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি তবে দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

 
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ