কটিয়াদীতে নারী মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কটিয়াদীতে নারী মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ফিরোজা খাতুন (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে পৌরসভার দড়ি চরিয়াকোনা মহল্লার মাদক ব্যবসায়ী স্বপন মিয়ার স্ত্রী। শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফিরোজার মেয়ে সোমা বেগম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম কটিয়াদী থানার একজন নারী ও একজন পুরুষ পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালায়।
এ সময়, স্বপন পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজাকে ১১ পিস ইয়াবা, ২২ পুরিয়া গাঁজা ও নগদ ৩২ হাজার ৬৬৪ টাকাসহ আটক করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে থানায় আনা হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফিরোজা অসুস্থতাবোধ করলে চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. ঈশা খানের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ঈশা খান জানান, অসুস্থ ফিরোজাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্বপন-ফিরোজা দম্পতি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। স্বপনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে, একটি মাদকের। তবে ফিরোজার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে ফিরোজাকে থানায় আনা হলে তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘুম ভাঙছিল না। ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাতে ঘুমের মধ্যে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাসপাতাল থেকেও লিখিতভাবে তা জানানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে মারধরের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরাও মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে লিখিত দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে না বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
ফিরোজার মেয়ে সোমা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন, ধরে আনার সময় মাকে কেউ মারেনি। থানায় এনে নির্যাতন করেছে কি না, সেটি তিনি জানেন না। তাই মায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে তাঁর।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স