ঢাকা , শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ


আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-০৫ ০৩:২১:৫৯
রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ
 
মো : গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে  প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে।

 
রাজশাহীর আমলী বোয়ালিয়া থানা আদালতে এ মামলা দায়ের করেন গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
 

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, নওগাঁর রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাকিমা খাতুন এবং তার স্বামী প্রকৌশলী কাজীমুল হক। কাজীমুল হককে এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরআগে তাদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগে আইনী নোটিশও পাঠানো হয়।
 
 
এছাড়া সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

 
তিনি জানান, দীর্ঘদিনেও বকেয়া টাকা না পেয়ে গত ২৪ মে আদালতে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে আইনজীবীর মাধ্যমে বাদী উল্লেখ করেন, রাজশাহী নগরীতে ‘গ্রীন মনোয়ারা প্যালেস’ নামের সাততলা আবাসিক ভবনের ৩য় তলার (বি-২) নম্বর ফ্ল্যাট বাজারমূল্য অনুযায়ী গত ২২ জানুয়ায়ী ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় কিনতে সম্মত হন কাজীমুল হক দম্পতি। এর প্রেক্ষিতে জমির অংশসহ ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন নির্ধারন হয়।
 
 
তবে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযুক্তরা দলিলমূল্য ২৭ লাখ টাকা উল্লেখ করে দলিল প্রস্তুত করান। এটিই ছিলো প্রথম প্রতারণার অংশ।
এ ঘটনায় বাদী বিস্মিত হলে আসামীপক্ষ জানায়, দলিলমূল্য যা থাক নির্ধারিত দাম ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হবে। সে হিসেবে ওইদিনেই জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়।
 
 
সেদিনই নগদ ১৫ লাখ ৩২ হাজার টাকা, ডিবিবিএল ব্যাংক হিসাবে ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও বিকাশে ২৫ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
 
 
এছাড়া, একই সময় মামলার প্রধান আসামী কাজীমুল হক গ্রীন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার দুটি চেক প্রদান করেন এবং বাকী টাকা কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যাংক হিসেবে জমা প্রদান করবেন বলে জানান। তবে জমিসহ ফ্লাট রেজিস্ট্রি হওয়ার পর ব্যাংক সময় পর্যন্ত কোন টাকা জমা হয়নি।

 
পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে তারা কালক্ষেপন শুরু করেন। তবে এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ মার্চ পর্যন্ত তারা আরো ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এখনো ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এখন এ টাকা পরিশোধের জন্য বলা হলে অভিযুক্তরা সরাসরি অস্বীকার করে। এমনকি আর টাকা চাইলে প্রাণনাশেও হুমকি দেওয়া হয়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে বাদী তাদের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
 
 
এ বিষয়ে, কথা বলার জন্য বুধবার বিকেলে প্রকৌশলী কাজিমুল হকের মোবাইল নম্বরে কল দেয়া হলে সাংবাদিক পরিচয় শোনার পর তিনি রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন। এর পরই অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাকিমা খাতুনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি। এক পর্যায়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

 
মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। সরকারি চাকরিবিধিও লঙ্ঘন করেছে। টাকার কথা বললে হত্যার হুমকি দেন।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ