ব্রাহ্মণপাড়ায় জমে উঠেছে পশুর হাট
আপডেট সময় :
২০২৫-০৬-০৩ ২০:১৩:০৭
ব্রাহ্মণপাড়ায় জমে উঠেছে পশুর হাট
মোঃ অপু খান চৌধুরী। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুটির মধ্যে একটি পবিত্র ঈদুল আযহা। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামী ৭ জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে পশু কোরবানি করবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় জমে উঠেছে কুরবানীর পশুর হাট। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক ডাকে মুখরিত হাট প্রাঙ্গন। কোরবানি উপলক্ষ্যে পশু কেনা-বেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কোরবানিদাতা ও বিক্রেতারা।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রায় সকল পশু উপজেলার বিভিন্ন হাট যেমন ধান্যদৌল, ব্রাহ্মণপাড়া, সেনের বাজার, সাহেবাবাদ, দুলালপুর, চান্দলা, রামনগর, কান্দুঘর,সিদলাই, ষাটশালা, মালাপাড়া,মাধপপুর বাগড়া, হরিমঙ্গল, মাধপপুরের হাটে কেনা - বেচা হয়। এসকল হাট সপ্তাহে ২ দিন বসে।
এ বছর বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট পশুর চাহিদা বেশি। বেশিরভাগ ক্রেতা বিক্রেতা হাটে নিয়ে গরু ক্রয়-বিক্রয় করলেও কেউ কেউ খামার থেকেই গরু ক্রয়-বিক্রি করছেন। আবার অনেক ক্রেতা গরু কিনে রাখার মতো প্রয়োজনীয় জায়গা না থাকায় গৃহস্তের বাড়ি থেকে কিনে গৃহস্তের কাছে গরু রেখে আসেন। এবছর ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ থাকায় খুশি খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
সরজমিনে ঘুরে, গতকাল (মঙ্গলবার) উপজেলার চান্দলা সবুজপাড়া ও চারিপাড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়েছে বাজারে। গরু বিক্রী করতে আসা চান্দলা পদুয়া গ্রামের মানিক মিয়া বলেন, আমি ২ টি গরু বাজারে নিয়ে এসেছিলাম, দাম ভাল পাওয়ায় বিক্রী করে দিয়েছি। এখন দেখি, দামে মিললে কুরবানির জন্য গরু কিনে নিয়ে যাবো।
কুরবানীর জন্য (সোমবার) ধান্যদৌল বাজারে গরু কিনতে আসা এনামুল বলেন বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম একটু বেশি। এবছর ভারত থেকে গরু না আসায় দাম একটু বেশি বলে মনে করেন তিনি।
ধান্যদৌল গ্রামের গরু খামারি আশিকুর রহমান বলেন, আমার বেশিরভাগ গরু খামার থেকেই অনেকে কিনে নিয়ে গেছে। আরো ১০ টি গরু রয়েছে, এগুলো দুই একদিনের মধ্যে হাটে নিয়ে বিক্রি করে দেব। আশাকরি দাম ভাল পাবো, কারণ আগামী বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে যেসব হাটবারের দিন ওই সকল হাটে কেনা বেচা অনেক ভাল হবে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার ইসমাইল হাসান বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণপাড়ায় চাহিদার তুলনায় গরুর পরিমাণ অনেক বেশি আছে। এবছর কোরবানির জন্য ব্রাহ্মণপাড়ায় চাহিদা ৯/১০ হাজার গরু রয়েছে কিন্তু উৎপাদন প্রায় ১৫ হাজারের মতো রয়েছে বলে তিনি জানান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স