মোঃ আরিফুল ইসলাম
ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি,
সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকায় আজ এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান কামিল (মাস্টার্স) পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মেহেদী হাসানকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আটক করে মারধর করে এবং অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আওতাধীন চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জানা যায়, মেহেদী হাসান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকার হাদীস বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী। চলতি কামিল পরীক্ষার শুরুর দিন ৩ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই তিনি পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন। তবে আজ, ১৭ মে, পরীক্ষার পরপরই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে মাদ্রাসা চত্বরেই আটক করে। এ সময় ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না’ স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো ক্যাম্পাস এলাকা।
ঘটনার পরপরই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আশরাফুল কবির সাংবাদিকদের জানান, আমি তখন একটি ওয়ার্কশপে অবস্থান করছিলাম। একটি কল পেয়ে দ্রুত অফিসে আসি এবং সঙ্গে সঙ্গে ওসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একটি পুলিশ টিম পাঠান। পরে আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। এখন বিষয়টি প্রশাসনের আওতায় এবং তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়াও ছাত্রলীগের আরেক নেতা ও ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন জিহাদকে গতকাল রাতে বগুড়া জেলা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মাদ্রাসা প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রতিরোধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।