ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন কর্মকর্তার প্রতিহিংসার শিকার মধ্যপাড়া বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত গন অভিযোগে স্বাক্ষর করায় প্রতিহিংসা মুলক মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-১২ ১৯:২৮:৫৫
বন কর্মকর্তার প্রতিহিংসার শিকার মধ্যপাড়া বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত গন অভিযোগে স্বাক্ষর করায় প্রতিহিংসা মুলক মামলা বন কর্মকর্তার প্রতিহিংসার শিকার মধ্যপাড়া বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত গন অভিযোগে স্বাক্ষর করায় প্রতিহিংসা মুলক মামলা
 
 
 
বিশেষ প্রতিনিধি: দিনাজপুরের মধ্যপাড়া বনবিভাগের বন কর্মকর্তার নানাবিধ স্বেচ্ছাচারিতা লাগামহীন অপকর্মের বিরুদ্ধে লিখিত গন অভিযোগ নামায় স্বাক্ষর করায় প্রতিহিংসা মুলক বন মামলার শিকার হয়েছেন এলাকার বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী স' মিল মালিক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। 

 
জানা গেছে, বিগত ১৬/০৯/২৪ইং তারিখে " মধ্যপাড়া রেঞ্জের গোপন সমঝোতায় ১৫ কোটি টাকার লট বানিজ্য, চিন্হিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য কাঠ ব্যবসায়ীদের গন আবেদন এ ১৩ নং ক্রমিকে মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ কারী হিসাবে সাক্ষর করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর /২৪ জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় " দিনাজপুরের মধ্যপাড়া ও চরকাই রেঞ্জের ১৫ কোটি টাকা হরিলুট হাজারের অধিক লট উন্মুক্ত পূণঃ টেন্ডারের দাবিতে ব্যবসায়ীদের গন আবেদন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে দফায় দফায় তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের দ্রুত বদলী করা হয়।" অবশেষে মধ্যপাড়া ও চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বদলি কোটি টাকার লট বানিজ্য, বাধ্য করে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহারের চেষ্টা শিরোনামে ২৯ সেপ্টেম্বর/২৪ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্ররিবেশিত হয়।


পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মৃত্যু কলিম উদ্দীনের ছেলে মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমি একজন কাঠ ব্যবসায়ী এবং স' মিল মালিক হিসাবে ১৫ কোটি টাকার লট বানিজ্যর প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে গন অভিযোগ নামায় স্বাক্ষর করেছিলাম প্রেক্ষিতে তদন্তে অভিযুক্তদের বদলি করা হয় সেই সঙ্গে অভিযোগ প্রত্যাহারে ৩৫ জন অভিযোগ কারীর নিকট থেকে স্বাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করা হয়। বন বিভাগের জেলা কর্মকর্তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে সুকৌশলে অভিযোগ প্রত্যাহারে বাধ্য করানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। 


তবে আমি অভিযোগ প্রত্যাহার নামায় স্বাক্ষর করিনি। এ কারনেই হয়রানি মুলক ভাবে আমার নামে অবৈধ ভাবে করাত কল স্হাপন ও করাত কল পরিচালনার অপরাধে ১৭/ মপা/০৩/ পার্বতী অব ২৪-২৫ তারিখ ২৭/১১/২০২৪ মামলা দিয়েছে।


শুধু তাই নয় পরবর্তীতে আবারো ১০ মপা/৫ মবি একটি মামলা দায়ের করেন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাইসেন্স ফি বাবদ দুই হাজার টাকা চালান নং এন১৮৩০৯০০০১ প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর প্রদান করেছি। আমাকে প্রদেয় পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্রে স্পষ্ট 


উল্লেখ করেন, আবেদিত জমিতে বর্তমানে করাত কল বিদ্যমান আছে, যাহা আবেদনকারী এস এ রেকর্ডিয় মালিকের ওয়ারিশ হিসাবে মালিকানা প্রাপ্ত হয়েছেন এবং মাঠ জরিপে আবেদন কারীর নামে মাঠ পর্চা তসদিক হয়েছে। নিজেস্ব ব্যক্তি মালিকানা জমিতে স'মিল পরিচালনা করা সত্বেও হয়রানি মুলক মামলায় জড়ানোর মাস্টারপ্ল্যান  দুঃখ জনক। অথচ অনেক স' মিল সরকারি বনবিভাগের জমিতে প্রকাশ্য জনবহুল এলাকায় স্হাপিত হলেও বন বিভাগ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। 


এ বিষয়ে মধ্যপাড়া রেন্জ অফিসার মোঃ আল আমিন জানান, আমি সাম্প্রতিক সময়ে যোগদান করেছি, প্রতিমাসে আমাদের কে মামলা দিতে হয় তারই ধারাবাহিকতায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দ্রুত অন্যান্য করাত কল গুলো কে মামলার আওতায় আনা হবে।


মধ্যপাড়া ফরেস্টার ও মামলার বাদী মোঃ আব্দুল মোতালেব জানান, হয়তোবা মোয়াজ্জেম হোসেনের স' মিলে অবৈধ কাঠ ফাড়াই করা হয়েছিল তাই মামলা দিয়েছি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ফরেস্টার আব্দুল মোতালেব কে মাসহরা দিয়ে ম্যানেজ করা হলে কোন সমস্যা হয় না।


গত ৬মে মধ্যপাড়া বন বিভাগ কর্তৃক ভাদুরী বাজারের সিএমবি রাস্তার পাশের শাহিনুর রহমান, ফয়জার রহমান, গোলাম মুর্তুজা, বিপুল মিয়া, আকতারুল ইসলাম ও রাহেনুল ইসলামের ৬ টি দোকান ভাংচুর করে মালামাল টলি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। সামাজিক বিভাগ কেন সমাজের লোকজন কে বেশি বেশি করে সম্পৃক্ত করতে পারছেনা এবং অহেতুক মানুষ কে হয়রানি করছে বিষয় টি খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে সচেতন মহল দাবি করছেন।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ