ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বানারীপাড়ায় নিহত ব্যবসায়ী সুলতান খানের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেট সময় : ২০২৫-০৪-২৭ ১৭:১৯:৪৮
বানারীপাড়ায় নিহত ব্যবসায়ী সুলতান খানের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত বানারীপাড়ায় নিহত ব্যবসায়ী সুলতান খানের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত





রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মলুহার গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাই-ভাতিজার হামলায় নিহত ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন খান (৪৫)’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।



রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় মলুহার ওয়াজেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত তার জানা জায়, মানুষের ঢল নামে। জানাজা শেষে স্কুলের সামনের সড়কে সর্বস্তরের হাজারো মানুষ এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।



তারা এসময় অনতিবিলম্বে বাকী আসামীদের গ্রেফতারসহ ঘাতকদের ফাঁসির দাবি জানান। পরে মলুহার গ্রামের নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। আহত হওয়ার ২১ দিন পরে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সুলতান হোসেন খান মারা যান। এদিন (শনিবার) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বানারীপাড়ায় মলুহার গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ এসে পৌঁছে। তখন সেখানে স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত সুলতান হোসেন খান পার্শ্ববর্তী স্বরূপকাঠি উপজেলার ইন্দের হাট বন্দর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।



এর আগে, তিনি আশা এনজিওতে ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। জানা গেছে, জমির বন্টন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মলুহার গ্রামে দুই ভাই শাহজাহান খান ও সুলতান হোসেন খানের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শাহজাহান খানের ছেলে রুবেল খান চাচা সুলতান হোসেন খানকে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।



এছাড়াও, শাহজাহান খান ও রুবেলের স্ত্রী লামিয়াসহ অপর আসামীরা কোদাল, ইট ও লোহার পাইপ দিয়ে দিয়ে তাকে আঘাত করেন। ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় সুলতান হোসেন খানকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে পরে তাকে রাজধানীর পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।



এ ঘটনায়, ৬ এপ্রিল সুলতান হোসেন খানের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বড় ভাই শাহজাহান খান, তার ছেলে রুবেল খান, ভাতিজার স্ত্রী লামিয়া আক্তার, বোন নিলুফা বেগম ও মারুফা বেগম, ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন এবং শাহ আলমকে সুনির্দিষ্ট ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মারধর ও হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই (৬ এপ্রিল) মামলার আসামী শাহজাহান খান, রুবেল খান ও লামিয়াকে গ্রেফতার করে বরিশাল জেলহাজতে পাঠায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ। পরবর্তীতে লামিয়া জামিনে বের হলেও সেই থেকে শাহাজান খান ও তার ছেলে রুবেল খান বরিশালে জেলহাজতে রয়েছেন।



এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধিন অবস্থায় হামলায় আহত সুলতান হোসেন খান মারা যাওয়ায় এ ঘটনায় পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে বাকী আসামীদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।







 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ