রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪৩ মাসের বকেয়া পরিশোধের দাবিতে পোরসভার গেটে কর্মচারীরা তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত: একমাসের বেতন পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন কর্মচারীরা। এদিকে গেটে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রার্থীরা।
কর্মবিরতি কালীন পৌরসভায় সেবা নিতে এসেছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলংগী এলাকার বাসিন্দা ফারিহা ফাতেমা রোজা। তিনি বলেন, বাচ্চার পাসপোর্ট করবো। সেজন্য রবিবার জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দিয়ে গেছিলাম। সোমবার নিতে এসে দেখি তালা ঝুলছে। আমার মতো অনেকেই সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।
কুমারখালী পৌরসভার গেটে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি পালনকালে কুমারখালী পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি ও পৌরসভার প্রধান সহকারী রাজু আহমেদ বলেন, ৫২ কর্মচারী ৪৩ মাসের প্রায় আট কোটি টাকা বেতন বকেয়া। দীর্ঘদিন ধরে তা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সম্প্রতি বদলিকৃত প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানের প্রায় ছয় লক্ষ ৭০ হাজার টাকা গ্র্যাচুইটি ভাতা পরিশোধের জন্য চেক প্রস্তুত করা হয়েছে। পৌরসভার ইতিহাসে কোনো দিন কারো গ্র্যাচুইটি ভাতা দেওয়ার নজির নেই।
এছাড়াও, বেতন-ভাতা পরিশোধে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বৈষম্য দূরীকরণ এবং সম্প্রতি বদলিকৃত এক প্রকৌশলীর গ্র্যাচুইটি ভাতা বন্ধের দাবিতে আমরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি করছি। বদলিকৃত প্রকৌশলীর গ্র্যাচুইটি ভাতা বন্ধ এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একমাসের বেতন পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
বাংলাদেশ পৌর কর্মচারী সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান টুটুল বলেন, বছরের পর বছর কর্মচারীদের বেতন বকেয়া। তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অথচ কর্মকর্তারা বেতন ভাতা নিয়ে উৎসব করছেন। সুতরাং একই কার্যালয়ে দুই নিয়ম চলতে পারে না। এই বৈষম্য দূর করে দ্রুত বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে হিসাবরক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় গ্র্যাচুইটির চেক প্রস্তুত করা হয়েছে। কর্মচারীরা কক্ষে তালা লাগিয়েছে। সেজন্য বাড়িতে চলে এসেছি।