র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বিবিধ প্রতারক চক্রের দ্বারা সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মামলার এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায় যে, মামলার ভিকটিম যশোর জেলার সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে রানা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও তার অংশগ্রহণ ছিল।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেল, সোহাগসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে ভিকটিম রানার বিরোধের সৃষ্টি হয় এবং রানাকে হত্যার হুমকিও দেয় তারা। ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি দুপুরের দিকে রানা যশোর শহর থেকে ষষ্টিতলা এলাকায় পৌঁছানো মাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা রানাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় রহিমা বেগম বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আসামি সোহাগ @ডেঞ্জার সোহাগ ছয় মাস জেল হাজতে থাকার পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজেকে আত্মগোপন করলে তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। উক্ত পরোয়ানা মূলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বলাডাংগা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসান আলী সোহাগ@ ডেঞ্জার সোহাগ (৩১), পিতা- শেখ ধলু মিয়া, সাং- বলাডাংগা (আশ্রমরোড), থানা-কোতয়ালী, জেলা- যশোরকে আটক করে। উল্লেখ্য যে, আসামি সোহাগ ডেঞ্জার সোহাগের বিরুদ্ধে বর্তমানে হত্যা ০১ টি, ডাকাতি ০১ টি, অস্ত্র ০১ টি, বিস্ফোরক ০১ টি, হত্যা চেষ্টা ০২ টি ও মাদক ০৩ টি সহ মোট ০৯ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।