খিয়াং সম্প্রদায়ের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিদ -ডঃ মোঃ নুরুজ্জান
আপডেট সময় :
২০২৫-০৪-০৬ ০২:৩৪:৩৪
খিয়াং সম্প্রদায়ের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিদ -ডঃ মোঃ নুরুজ্জান
রাজস্থলী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ -গোষ্ঠীর হত দরিদ্র এবং অসহায়দের পাশে থাকার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। তারই ধারবাহিকতায় আজ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ১ নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের খিয়াং সম্প্রদায়ের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বীত বলে মনে করছি। তিনি হলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অর্থনীতিবীদ পরামর্শক যুগ্ন সচিব ড, মো, নূরুজ্জমান। তিনি বলেছেন সমতলের সাথে টিকে থাকতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নযনের কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল নেটওয়ার্ক, যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে এ পার্বত্য পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।
আজ শনিবার ৫ এপ্রিল সকাল ১১ টায় রাজস্থলী উপজেলার কুইক্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক মত বিনিময় সভায় পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নের অর্থনীতিবীদ ও পরামর্শক যুগ্ন সচিব ড, মো, নূরুজ্জমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। বাংলাদেশ খিয়াং কল্যাণ সংস্থার নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি ত্রিমতি খিয়াং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাইথুইঅং খিয়াং, বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞোই, সাবেক দুই নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান সলোয়মান, কুষক দলের সভাপতি বিষু সাহা, জেলা বিএনপির সদস্য মিসাচিং মারমা উপজেলা মৎসজীবি সভাপতি মিদুসে মারমা, উপজেলা মহিলা দলের লাকি মারমা প্রমুখ। পাহাড়ের পরিবেশের বিষয়ে বলতে গিয়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অর্থনীতিবীদ পরামর্শক বলেন পাহাড়ের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়ে উঠছে। পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এখনই এ বিষয়ের সচেতন না হলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে। আমি আপনাদের সব কথা শুনেছি, মন্ত্রণালয় ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে যাতে এ এলাকার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করে পাহাড়ের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা যাতে বজায় থাকে। পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা জরুরি উল্লেখ করে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অর্থনীতিবীদ ( যুগ্ন সচিব) বলেন রাজস্থলী উপজেলাটি একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনন্য দৃষ্টান্ত। এটিকে বজায় রেখে সব জাতি গোষ্ঠীর সাথে সমন্বয় ও আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, যে এলাকায় পানির ব্যবস্থা নাই, বিদ্যুৎ নাই, যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুউন্নত, মোবাইল নেটওয়ার্ক নাই সে এলাকায় পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্প হাতে নিয়ে সচ্চতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক অভিভাবক ও এলাকার হত দরিদ্র অসহায় জনসাধরণ অংশ নেয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স