ঢাকা , রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫ , ২৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের দশানী-রামপাল-মোংলা সড়কের নির্মান কাজে ধীরগতি, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ ও বর্তমান ঠিকাদারের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


আপডেট সময় : ২০২৫-০৪-০২ ২৩:৩৩:৩৮
বাগেরহাটের দশানী-রামপাল-মোংলা সড়কের নির্মান কাজে ধীরগতি, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ ও বর্তমান ঠিকাদারের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন বাগেরহাটের দশানী-রামপাল-মোংলা সড়কের নির্মান কাজে ধীরগতি, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ ও বর্তমান ঠিকাদারের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
 
 
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
 
দুই দফা সময় বাড়ালেও, বাগেরহাটের দশানী-রামপাল-মোংলা আঞ্চলিক মহা সড়কের দশ কিলোমিটার এলাকার কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স। সংস্কারের জন্য খোড়াখুড়ি, রাস্তার উপরে এলোমেলো খোয়া, কিছুদূর পরপর বড় বড় গর্তে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। সড়ক সংস্কার, নতুন ঠিকাদার নিয়োগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্সের বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে স্থানীয়রা। 
 
এর অংশ হিসেবে বুধবার (০২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সড়কটির কাশেমপুর বাজার নামক স্থানে সহস্রাধিক এলাকাবাসী জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন। 
 
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মো : সোহেল তরফদার, আবু বক্কর গাজী, মাওলানা রেজাউল করিম, খান তুহিন,অহিদুজ্জামান বাদশা, নকীব সাফিক, ইমরান হোসেন মুন্না, গাজী আবু বকর, তরফদার জিল্লুর রহমান ,আফজাল হোসেন, জুলফিকার মল্লিক, আরাফাত হুসাইন, দেলোয়ার তরফদার, রাকিবুল ইসলাম, মোঃ তাজমুল হোসেন, আব্দুর রহমান তরফদার প্রমুখ।
 
মানববন্ধনকারীরা বলেন, প্রায় একযুগ ধরে বাগেরহাট শহরের দশানী থেকে মোংলা পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা ছিল। পরে সংস্কার শুরু হলেও, কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বরং খোচাখুচি করে সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ করে ফেলছে। এখ চলাচল করা খুবই দূরহ ব্যাপার। এই সড়ক থেকে চলাচল করলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। অতিদ্রুত সড়ক সংস্কার করতে হবে৷ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি নতুন করে কাজ শুরু না হয়, তাহলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মানববন্ধনকারীরা।
 
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানাযায়, ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা আঞ্চলিক মহাসসড়কটি প্রশস্তকরণ, সম্প্রসারণ ও সংস্কারের জন্য ৪টি প্যাকেজে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৩৩ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে ৮ ব্রিজ, ২১ টি কালভার্ড রয়েছে, জমি অধিগ্রহন ও সংস্কারসহ যার নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। প্রথম প্যাকেজে দশানী থেকে হেলাতলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স। দুই দফা সময় বাড়ানো হলেও প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ১৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেড়েছে। কাজ শেষ করার নির্দিষ্ট সময় ৩১ মার্চের পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ। আগামী এক মাসের মধ্যে মাহবুব ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে, তাদের কার্যাদেশ এবং চুক্তি বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম।
 
তিনি বলেন, চারটি প্যাকেজের শেষ তিনটি প্যাকেজের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে প্রথম প্যাকেজের কাজ শেষ হয়নি। সব শেষ ৩১ মার্চ পযর্ন্ত সময় ছিল। সেই সময়েও তারা কাজ শেষ করতে পারেনি। মাহবুব ব্রাদার্সকে চুড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে মাহবুব ব্রাদার্সের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ