ঢাকা , বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ , ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসি ও এসপির নাম ভাঙিয়ে প্রতিবন্ধীকে জমি সহ ঘর দেওয়ার কথা বলে লাখ টাকা আত্মসাত


আপডেট সময় : ২০২৫-০৩-২৩ ২৩:১৩:২৪
ডিসি ও এসপির নাম ভাঙিয়ে প্রতিবন্ধীকে জমি সহ ঘর দেওয়ার কথা বলে লাখ টাকা আত্মসাত ডিসি ও এসপির নাম ভাঙিয়ে প্রতিবন্ধীকে জমি সহ ঘর দেওয়ার কথা বলে লাখ টাকা আত্মসাত


 
 
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:- নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পাঠানটুলি কবরস্থান রোড আইল পাড়া এলাকার চিহ্নিত প্রতারক ও আন্তর্জাতিক বাটপার ধষর্ণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত সহ একাধিক মামলার আসামি নারী পিপাসু লম্পট মান্নানের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ১ নং আদালত নারায়ণগঞ্জ।

মামলা নং সি আর ২২৫/২০২৫ ইং মামলার বিবরণে জানা যায়, সামসুদ্দীন আঃ হান্নান মিয়ার কুখ্যাত ছেলে তথাকথিত মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ এর নাম ভাঙিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমি সহ গৃহনির্মাণের কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। তাদের একজন ভোক্তবোগী রুপালি আক্তার বন্দর বাগ বাড়ী নিবাসী তার কাছ থেকে ১৫০.০০০/ এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বাটপার মান্নান সহ তার প্রতারক চক্র। ন্যায় বিচার চেয়ে ভোক্তবোগী বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে প্রতারক মান্নানের বিরুদ্ধে সরাসরি গ্ৰেফতারি পরোয়ানা জারি করে এবং মান্নানের স্ত্রী আয়েশা আক্তার সহ আরো তিন জনের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করে আদালত।

প্রতারক মান্নানের বৈধ কোন আয়ের উৎস না থাকায় তার তথাকথিত মানব কল্যাণ পরিষদ থেকে ডিসি ও এসপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে জিবিকা নির্বাহ করে থাকে, বাটপার মান্নান ওরফে মুনাফেক মান্নানের ছোট ভাই দ্বারা কিশোরী অপহরণ তাদের নানান অপরাধ দ্বারা নিরিহ মানুষ সংকিত, কথিত মানব সর্বনাসের কারিগর পশ্চিম আইলপাড়ার সাধারন মানুষের আতংক বাটপার মান্নান ভুঁইয়ার মাদক সেবী আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ পশ্চিম আইলপাড়া নিবাসী মৃত জামাল উদ্দিনের মেয়ে আলাউদ্দিনের ছোট বোন তুলি বয়স ১৩ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বিদ্যা নিকেতনের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রীকে অপহরন করে নিয়ে যায়,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ মান্নানের বাড়ী থেকে তুলিকে উদ্ধার করে তার চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়। মান্নানের দায়ের করা মিথ্যা মামলা ভয়ে তুলির অভিবাবক মামলা করতে ভয় পায়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে, কারন ইতোপূর্বে মান্নান এলাকার সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে অএ এলাকায় মান্নান একজন চিহ্নিত প্রতারক ও মামলা বাজ হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন দোকানে বাকী খায়, বাড়ী ভাড়া ১০ মাস বকেয়া রেখেছে। তার মানব কল্যানের অফিসের ভাড়া পরিশোধ না করায় বাড়ীর মালিক পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে, ফতুল্লা থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্তের সত্যতা পেয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ১৪ বৎসর পূর্বে মান্নানের ছোট বোনকে অপহরন করে আইলপাড়া নিবাসী মোঃ সেলিম, সেই সময় মন্নান গ্রামের ৮/৯ জন নিরিহ যুবককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। সেই বোনের স্বামী সেলিম এখন মান্নানের শেল্টার দাতা।

সেলিম এলাকায় ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা করে, রাত ১০টার পর আইলপাড়ায় শাহআলম সাহেবের বাড়ীর সামনে মাদকের রমরমা হাট বসে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন সাথে করে এই অসামাজিক কাজ করে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে যা গোপনে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। অথচ মান্নান মাদক ব্যবসার শেল্টার দাতা হয়ে ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিজে টু পাইস কামিয়ে যাচ্ছে।

সাধারন মানুষের প্রশ্ন মান্নানের বৈধ আয়ের উৎস কি? প্রতারক মান্নান ও তার ছোট ভাই, বোনের স্বামী আর কত অপরাধ করলে প্রশাসনের টনক নড়বে? ওসমান দোষর ধষর্ণ মামলা সহ একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, নারী পিপাসু লম্পট ও আন্তর্জাতিক বাটপার ধষর্ণ মামলায় ১০বছর  সাজাপ্রাপ্ত সহ একাধিক মামলার আসামি লম্পট মান্নান বহাল তবিয়তে রয়েছে।

এই বাটপার মান্নান কখনো সার্টিফিকেট প্রদান কখনো বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আবার কখনো ত্রাণ সহায়তার কথা বলে, রেজিস্ট্রেশন ফির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এবার প্রতারক মান্নানের টাকা কামানোর মুল এজেন্ডা হচ্ছে সাংবাদিকতার বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মুলা। চিহ্নিত প্রতারক মান্নানের এই সংগঠনে প্রশিক্ষণ দেয় কারা আর প্রশিক্ষণ নেয় কারা? আসলে যারা প্রতারক তাড়া স্থির থাকতে পারে না। কোন না কোন ধান্দা ফিকিরের তালাশে থাকে সবসময়।আর এই ধান্দা বা তালাশের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতারণা ও ধাপ্পাবাজি করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কিছু টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া।এই ক্ষেত্রে তথাকথিত মানব কল্যাণ পরিষদের দোকান বসিয়ে নিজে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান পরিচয়ে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

তাহলে এখন প্রশ্ন জাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন এই বাটপার মান্নান কে গ্ৰেফতার করছে না? নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই প্রতারক নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের অনুষ্ঠানে ঐ প্রসাশনের কর্মকর্তাদের অতিথি করে নিজেকে জাহির করে বাটপার মান্নান একজন সমাজ কর্মী। কিন্তু প্রসাশনের লোকজন যারা

অতিথি হয়ে আসে অনুষ্ঠানে তাড়া তো আর জানে না যে, বাটপার মান্নান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাথায় টুপি পড়িয়ে হরহামেসেই ধাপ্পাবাজি করে সাধারণ মানুষের পকেট খালি করে ফেলছে। প্রতারক মান্নানের খপ্পরে পড়ে অনেকেই সর্ব হাড়া, মানসম্মানের ভয়ে কেউ এই প্রতারক মান্নানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। স্থানীয় সূত্রে লোকজন বলছে এই যে প্রতারক মান্নান বিভিন্ন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেয় কারো নাম ও পদবী বা ঠিকানা প্রকাশ করা হয়না। সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকায় প্রতারক মান্নানের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত হয় যে। 

মানব কল্যাণ পরিষদের নামে বাটপার মান্নান প্রশিক্ষণের দোকান খুলে বসেছিল যে, কিনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধষর্ণ মামলায় ১০বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেই সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাটপার মান্নান তার মাধবী লতা প্লাজার প্রশিক্ষণের দোকান গুটিয়ে গা ডাকা দিয়ে আছে। প্রতারক মান্নান কোভিট ১৯ সরকারি অনুদানের কথা বলে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি, ত্রাণ আত্মসাৎ করেছে মর্মে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফলোয়াও করে সম্প্রচার করে কিন্তু জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।তারই ধারাবাহিকতায় তথ্য অধিকার আইনের আলোকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে তিন দফা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তথ্য প্রদান করেনি জেলা প্রশাসক। মহামান্য হাইকোর্ট থেকে নোটিশ পাঠানোর পর ও জেলা প্রসাশক থেকে কোন সৎ উত্তর না পাওয়ায়,

এবিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে, জনসাধারণের হক মেরে জারা নিজেদের সমাজ কর্মী দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে এবার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথাকথিত মানব কল্যাণ পরিষদ তথা ব্যাক্তি মান্নান ভুঁইয়া বিগত ২০১৮ হইতে ২০২৪ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে কি কি অনুদান পেয়েছে এবং সেই অনুদান কারা পেয়েছে যাদের নাম বলে অনুদান গ্ৰহন করা হয়েছে, তাড়া কি সঠিক ভাবে সরকারি সেই অনুদান পেয়েছে তার তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিটের প্রস্তুতি চলছে। তবে চিহ্নিত প্রতারক ধষর্ণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাটপার মান্নানের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন যায়গায় বাটপারি করা। দূর্নীতির দায়ে চাষাড়া মাধবী লতা প্লাজার প্রশিক্ষণের নামে দোকান ঘর বন্ধ,  সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা ধষর্ণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১০ বছরের সাজা প্রদান করে। ধর্ষক মান্নান ৩৬ মাস তিন বছর জেল হাজতে কারা ভোগের পর হাইকোর্ট থেকে আপীলের শর্তে জামিন পেয়ে পূণরায় অসামাজিক কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে।

হাইকোর্টের আপীল মামলার নং ৪৮১৮/ ২০১০ প্রতারক মান্নান দীর্ঘদিন পলাতক রয়েছে আপীলে জামিনে গিয়ে তাই বাটপার মান্নানের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে বলে জানা গেছে আদালত সূত্রে, তা ছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের সেন্টু মিয়া পিতা মৃত চাঁন মিয়া তার দীর্ঘদিনের রক্ষণাবেক্ষণায় পুকুরে মাছ চাষ করে আসলে ও হঠাৎ করে ডিসির নাম ভাঙিয়ে সেই পুকুর দখলের চেষ্টা করতে গেলে স্থানীয় লোকজন উত্তম মাত্তম দিয়ে বিতাড়িত করে দিয়েছে বলে জানা যায়। প্রতারক মান্নানের ছোট ভাই একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ তিনি এখন তরুণ দলের সদস্য।অথচ আওয়ামী লীগের সময়ে বাটপার মান্নান সহ তার মাদক ব্যবসায়ী ভাই ছাএদের উপর সরাসরি করেছে।৮ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিনের সঙ্গে আঁতাত করে। প্রতারক মান্নান ডিসি ও এসপির নাম ভাঙিয়ে এখন মামলা বানিজ্যে মেতে উঠেছে। সদর, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় যদি কোন মামলা হয় তাহলে বাটপার মান্নান সেই অজ্ঞাত নামা মামলার মধ্যে নিরিহ মানুষকে আসামি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। অথচ এই প্রতারক মান্নানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ১৮৮/নারী ও শিশু নির্যাতন ধষর্ণ মামলা, ফতুল্লা থানা ১৭৩/১৭ প্রতারণা মামলা, সদর থানা ৪১/২৪ প্রতারণা মামলা বন্দর থানা ৯৭/২৪ নারী শ্লীলতাহানি ও প্রতারণার, আড়াইহাজার থানা ১৩২/২৫ প্রতারণা মামলা। এতো গুলো মামলার আসামি বাটপার মান্নান অথচ ডিসি এসপি তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ বাসী বলছে জেলার শীর্ষ পদক প্রতারক ও ধষর্ণ মামলা সহ একাধিক মামলার আসামি বাটপার মান্নাকে গ্ৰেফতার করে  আইনের আওতায় আনা হোক।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ