হেলাল উদ্দীন (মিঞাজী) নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তৌহিদী জনতার উদ্যোগে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা এবং ভারতের নাগপুরে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝালকাঠির রাজাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
শুক্রবার (২১মার্চ) দুপুর ২.০০টায় তৌহিদী জনতা নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়, মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানার মোড় হতে পুনরায় বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. আবু নাসেরের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো.নুর সাদেক'র সঞ্চালনায় এ বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা বশির উদ্দীন বলেন, "ইসরায়েল বর্বরভাবে ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে, অথচ বিশ্ব শক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আমরা এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানাই।"
তিনি আরও বলেন, "শুধু ফিলিস্তিন নয়, ভারতের নাগপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির এই দমন-পীড়ন মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দাবি জানাই, ভারতের মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।"
বিশেষ অতিথির গর্জনিয়া ফয়জুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আইয়ুব "বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ফিলিস্তিন থেকে কাশ্মীর, নাগপুর থেকে আরাকান—সর্বত্র মুসলমানরা আজ নির্যাতিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা অবিলম্বে এসব হামলা বন্ধের দাবি জানাই এবং মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।"
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মডেল মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব মাওলানা আবু তাহের নোমানী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিয়উল হক জিয়াসহ সাংবাদিকবৃন্দ
বক্তারা ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন, এবং সকল মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তারা সরকারসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ হয় এবং ভারতের মুসলমানরা নিরাপদে বসবাস করতে পারেন।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রনেতা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
