ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলীয় প্রভাব বিস্তারে মরিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেতৃত্ব দখলে মরিয়া দলীয় কর্মীরা


আপডেট সময় : ২০২৫-০৩-১২ ১৫:৪৪:০১
দলীয় প্রভাব বিস্তারে মরিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেতৃত্ব দখলে মরিয়া দলীয় কর্মীরা দলীয় প্রভাব বিস্তারে মরিয়া মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেতৃত্ব দখলে মরিয়া দলীয় কর্মীরা

 
মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর একটু নড়েচড়ে বসেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। নিজেদের অতীতের বিভিন্ন ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়েই সবাই গড়তে চায় নতুন বাংলাদেশ।
 
অন্য দিকে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) তরুণদের নিয়ে দেখছে নতুন স্বপ্ন। এনসিপি নিয়ে দেশের নানান কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন জায়গা শুরু হয়েছে আলোচন-সমালোচনা। নেতৃত্ব নিয়েও আছে নানা প্রশ্ন। নতুন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।
 
আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো কর্মকাণ্ড হতাশ করেছেন, এ দেশের সাধারণ জনগণকে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উঠে এসেছে দলগুলোর নেতাকর্মীদের চরিত্র।
 
বিভিন্ন দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বালু মহল, জলমহাল, জমি দখল, হুমকি ধামকিসহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যা বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় দৃশ্যমান।
 
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত বিএনপি। একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। দলটির নেতাকর্মীরা এখন সারাদেশে নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি  অভিযোগ ছাড়াও কাদা ছোড়াছুড়ির সঙ্গে মাঠ দখলের লড়াইয়ে চলছে পেশি শক্তির প্রদর্শন।
 
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় কোন্দল বেড়েছে। দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সৃষ্ট বিরোধ সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। বিএনপির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে চিন্তিত দলের হাইকমান্ড।
 
দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে, এই প্রবণতা ততই বাড়বে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর এমন আচরণ দেখে হতাশ সাধারণ জনগণ, যা কাম্য নয়।
 
দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত নানা সুযোগ-সুবিধা বাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে দলগুলোর মধ্যে কোন্দল বাড়ছে। আর এই কোন্দল থেকেই হচ্ছে বিভক্তি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে পাওয়া-না-পাওয়া থেকে ক্ষোভ ও মতবিরোধ এবং অন্তর্কলহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
 
তারা মনে করেন,পদ-পদবি পেলে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া যায়। আর এ কারণেই তারা যে কোনো উপায়ে পদ-পদবি পেতে মরিয়া হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন অনেকেই। সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে, এই প্রবণতা ততই বাড়বে বলে মনে করছেন সুধী সমাজ। ।
 
এর বাইরেও দেশের অধিকাংশ জেলা-মহানগর, উপজেলা-পৌর শাখা, এমনকি দলগুলো ইউনিয়ন কমিটির নেতারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এসব স্থানে বিএনপি, জামায়াতকে যতটা না তাদের প্রতিপক্ষ ভাবছেন, এর চেয়ে বেশি নিজ দলের নেতাকর্মীরাই চিহ্নিত হচ্ছেন শত্রু হিসাবে। 
 
আর এসবের পেছনে কাজ করেছে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা, সংগঠনের নেতৃত্বপ্রাপ্তির লড়াই এবং এলাকায় দলীয় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব।
 
অনেকেই বলছেন, নির্বাচনী মাঠে দৃশ্যমান শক্ত দেখানোর জন্য কিছু কিছু স্থানে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা অরাজনৈতিক আচরণ করছেন। কেন্দ্র থেকে তীক্ষ্ণ নজরদারি রয়েছে, যেন দলে অভ্যন্তরীণ এ প্রতিযোগিতা সহিংসতার কারণ না হয়।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ