স্ক্রাব বিক্রি নিয়ে চলচে দু-পক্ষের বিরোধ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ৫০ কোটি টাকার স্ক্রাব ২২ কোটি টাকায় বিক্রি
আপডেট সময় :
২০২৫-০৩-১০ ০২:০৯:০৩
স্ক্রাব বিক্রি নিয়ে চলচে দু-পক্ষের বিরোধ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ৫০ কোটি টাকার স্ক্রাব ২২ কোটি টাকায় বিক্রি
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
উত্তর অঞ্চলের সর্ব বৃহৎ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি’র স্ক্রাব বিক্রি নিয়ে চলছে দু-পক্ষের বিরোধ। ৫০ কোটি টাকার স্ক্রাব ২২ কোটি টাকায় বিক্রি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ১৪/০৩/২০২৪ইং তারিখে অকেজ ঘোষিত স্ক্রাব ও খুচরা যন্ত্রাংশ রাইট অফকৃত মালামাল নিলামে ক্রয়ের নিমিত্তে সেনা কল্যান সংস্থা পত্র নং-এসকেএস/টিডি/২০/১৮১ তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৪ইং। দরপত্র দাখিল করেন মূল্যায়িত সর্বচ্চো এবং সকল রেসপনসিভ দরদাতা হিসাবে সেনা কল্যান সংস্থা বিবেচিত হয়। ১৮/০৪/২০২৪ইং তারিখে সেনা কল্যান সংস্থা ঢাকা বরাবর ঘড়ঃ রভরপধঃরড়হ ড়ভ অধিৎফ (ঘঙঅ) জারি করেন। উক্ত নোয়া অনুযায়ী নিলামকৃত মালামালের মূল্য বাবাদ আয়কর ও ভ্যাট সহ ২২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ২ শত ১০ টাকা নিধারিত করে গত ১৮/০৮/২০২৪ইং তারিখে বিসিএমসিএল এর সভায় স্ক্রাব বিক্রির অনুমোদন প্রদান করেন।
নিলাম বিজ্ঞপ্তির সকল সর্ত মেনে ঘঙঅ জারি ১৪ দিনের মধ্যে সেনা কল্যান সংস্থার প্রস্তাবকৃত সমূদয় নিলাম মূল্যে আয়কর ভ্যাট জমা দেন পে-অর্ডারের মাধ্যমে। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি কর্তৃ ঘঙঅ কে চ্যালেন্স করে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রো: মোঃ রহিমা এন্টার প্রাইজ পল্লবী মিরপুর ঢাকা আদালতে একটি রিড পিটিশন দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৫২০৯ এবং ঐ মামলা শুনানি করে ৬ মাসের জন্য ঘঙঅ সমস্ত কাজ কর্ম স্থগিত আদেশ দেন। উক্ত মামলার বিষয়টি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোঃ লিঃ কর্তৃক বিষয়টি জানার পরেও হাইট করে সেনা কল্যান সংস্থা নামে ঘঙঅ ইস্যু করেন। ফলে সেনা কল্যান সংস্থা ০২/০৫ /২০২৪ ইং তারিখে টাকা জমা দেন। উক্ত বিনিয়োগ অর্থ লগ্নিকারী ব্যাংক হতে লোন নিয়ে বিনিয়োগ করার ফলে যথা সময়ে মালামাল ডেলিভারি আনতে না পারায় তাদের অনুমানিক ৫ কোটি টাকা অর্থিক ক্ষতি শিকার হন বলে চিঠিতে উল্লেখ্য করেন।
পরবর্তীতে গত ২২/১২/২০২৪ইং তারিখে মালামাল ডেলিভারি ক্ষনি থেকে শুরু হলে মাত্র ৪শত টন স্ক্রাব খনি কর্তৃপক্ষ দেওয়ার পর হঠাৎ করে খনি কর্তৃপক্ষ বি-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে ডেলিভারি বন্ধ করে দেন। গত ২৩/০১/২০২৫ ইং তারিখে চিঠি দ্বারা ডেরিভারি শুরু করার অনুরোধ করেন সেনা কল্যান সংস্থান মহা ব্যবস্থাপক মোজর মোঃ জিয়াউল আহসান (অবঃ)। এর পরিপেক্ষিতে ২৭/০১/২০২৫ইং তারিখে পুনরায় ডেলিভারির সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে প্রায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক ইকুপমেন্ট প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে ডেলিভারি শুরু করা হয়। ৫টি ট্রাকে ৫০% স্ক্রাব লোড হওয়ার পরে হঠাৎ ডেলিভারি বন্ধ করেন দেওয়ায় তাদের ক্ষতিসাধন হয় বলে উল্লেখ্য করেন। বিধি লঘন করে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির স্ক্রাব বাইর করার সহযোগীতা করেন খনি কর্তৃপক্ষ। এতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিতে জ্বালানি মন্ত্রনালয় সচিব বাদি হয়ে উক্ত মালামাল ডেলিভারি স্থাগিত করার জন্য মহামান্য আদালতের এপিল্যাট ডিভিশনে একটি রিড পিটিশন দাখিল করেন যাহার প্রেক্ষি আদাত স্থগিত আদেশ প্রদান করেন। এখন সেনা কল্যান সংস্থাকে আদালতের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্ক্রাব বিক্রি বন্ধ রাখেন। সেনা কল্যান সংস্থার ১ কোটি ৪লক্ষ ১৮ হাজার ২শত ৯০ টাকা পরিশোধ করতে হলো নির্ধারিত সময়ে স্ক্রাব ডেলিভারি না দেওয়ায় অনুমানিক ৬ কোটি টাকা দরপতন অপারেশন সহ ব্যাংক মুনাফা ৫ কোটি টাকা মোট ১২ কোটি ৪৫লক্ষ ১৮ হাজার ২শত ৯০ টাকা সেনা কল্যান সংস্থার আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ্য করেন। বড়পুকরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ স্ক্রাব বিক্রিতে অনিয়ম করায় এখন জটিলতায় পড়েছেন। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। খনি কর্তৃপক্ষ বার বার আইনজীবির মতামত নিয়ে স্ক্রাব বের করে দেওয়ার কথা বলেন আবার বলেন আইনি জটিলতা রয়েছে স্ক্রাব ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সেনা কল্যান সংস্থার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মেজর মোঃ জিয়াউল আহসান (অবঃ) এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স