ভোলায় আ'লীগ নেতার হামলায় গুরুতর আহত- ৫
আপডেট সময় :
২০২৫-০৩-০২ ২২:২৪:৫২
ভোলায় আ'লীগ নেতার হামলায় গুরুতর আহত- ৫
আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা: ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পাঙ্গাসিয়া গ্রামের সুলতান ব্যাপারী বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা কামাল, জামাল ও শাহিন গংরা অসহায় একটি পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৫ জন কে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার সকাল ৭টার সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হন আবু কালাম ব্যাপারী (৫৬), মোঃ ইমরান হোসেন সবুজ (৩৫), মোঃ নিশাদ (২৮), শামসুন্নাহার (৪৮), লাবনী আক্তার (২২)। আহতরা বর্তমানে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
আহত ইমরান হোসেন সবুজ অভিযোগ করে বলেন, সকালে ফজরের নামাজের পরে মুরগির গাড়ি বের করতে গিয়ে দেখি কামাল গংরা একটি নতুন চাল বানিয়ে রাস্তার উপরে দিয়ে রেখেছে। গাড়ি বের করার জন্য সে চালটি সরাতে গেলে পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা মোঃ কামাল, জামাল, শাহিন, নুর হোসেন, রুবেল, রাসেল, নাইম, শান্ত, নাজমা, তোয়বা, মিতু ও মাইনুর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। কামাল একটি বটি দিয়ে আমার হাতে একটি কোপ দেয়। আমার বাবা আমাকে উদ্ধার করতে আসলে তারা সংঘবদ্ধভাবে আমার বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আমাদেরকে বাঁচাতে আমার স্ত্রী ও মা এবং ছোট্ট ভাই ছুটে আসলে তারা তাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত আবু কালাম ব্যাপারী বলেন, আমার ৮০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কামাল ও জামাল গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। বিগত দুই বছর আগে আমি এ বিষয়ে লালমোহন থানা একটি লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন এসআই ইউসুফ ও জাফর পর্যায়ক্রমে এ অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ফয়সালা করে। ফয়সালা শেষে আমার ৮০ শতাংশ জমি আমাকে মেপে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে বলে। তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দাপটে দেখিয়ে পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ কামাল আমার জমি আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি করে। স্বৈরাচার পতনের পরে আমি পূর্বের সেই সালিশ নামা দিয়ে নৌবাহিনী বরাবর একটি লিখিত দেই। সেজন্য তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার পরিবারের উপর এই অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তারা আমাদেরকে জানে মেরে ফেলার জন্য এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ কামাল এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স