পিলখানা হত্যাকান্ডের সাথে ভারত সরাসরি জড়িত ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
আপডেট সময় :
২০২৫-০২-২৮ ০৪:৩৭:১১
পিলখানা হত্যাকান্ডের সাথে ভারত সরাসরি জড়িত ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
বিশেষ প্রতিনিধি।।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ২০০৯ সালে পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায়, প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি, অন্তবর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত পিলখানা হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশনের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের দিনটিকে আড়াল করতে নানা রকম ষড়যন্ত্রের আয়োজন করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে পিলখানা হত্যাকান্ড ছিল একটি কালো অধ্যায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়েও অধিক সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে পিলখানা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। এমনকি বাঁচাই করে করে উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করা হচ্ছে সেনানিবাসে সংবাদ দিলেও সেনাপ্রধান কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তারা তখন পিকনিক করে বিরিয়ানি খাচ্ছে। বিরিয়ানি খেয়ে জাহাঙ্গীর আলম নানক আর মির্জা আজম কে পাঠানো হয়েছে পিলখানায় সেনাকর্মকর্তাদের উদ্ধার করতে! এর দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় সরকারের সরাসরি মদদে পিলখানা হত্যাকান্ড চালানো হয়েছে।
তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় গঠিত কমিশন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ভাবে তদন্ত করতে হবে এবং সঠিক বিচারের মাধ্যমে জড়িতদের ফাঁসি দিতে হবে। এসময় তিনি পিলখানা হত্যাকান্ড সহ প্রতিটি হত্যার বিচারের দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, শেখ হাসিনা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার কিছু দিনের মাথায় সুপরিকল্পিত ভাবে পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা এক ডিলে পাঁচ পাখি মেরেছে। প্রথমত ৫৭জন চৌকস সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করেছে, দ্বিতীয়ত চৌকস দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের হত্যা করার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে চেয়েছে, তৃতীয় শেখ হাসিনা পিতা হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করেছে, চতুর্থত বিডিআরকে নিঃস্ব করেছে, পঞ্চমত বিডিআরকে নিঃশেষ করে নতুন বাহিনী গঠন করে তাদের নতজানু বাহিনী সৃষ্টি করেছে। এতে ভারতের আধিপত্যবাদ বিস্তারের পথ সুগম করেছে। পিলখানা হত্যাকান্ডের পর ইতোপূর্বে যেই তদন্ত করা হয়েছে সেই তদন্ত একতরফা এবং নিজেদের মনগড়া তদন্ত। নতুন করে তদন্তে গঠিত কমিশনের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার বিচার করতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট এস. এম কামাল উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, পল্টন থানা আমীর শাহিন আহমেদ খান প্রমুখ। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, কর্মপরিষদের সদস্য সৈয়দ সিরাজুল হক, শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর শরিফুল ইসলাম সহ নেতৃবৃন্দ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স