দৌলতপুরের তেকালায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অস্থায়ী থাকার ঘরে বোমা হামলা
আপডেট সময় :
২০২৫-০২-০১ ২২:১০:২৪
দৌলতপুরের তেকালায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অস্থায়ী থাকার ঘরে বোমা হামলা
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চাঁদার দাবিতে আতঙ্ক ছড়াতে একটি নির্মাণাধীন সেতুর শ্রমিকদের রাত্রি যাপনের অস্থায়ী ঘর লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় চার-পাঁচটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। বোমার শব্দে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের তেকালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে গত দুই মাস ধরে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর তেকালা বেতবাড়িয়া সেতুর কাজ চলছে। সেতুর তেকালা প্রান্তে ঢেউটিনের অস্থায়ী ছাউনি করে সেখানে নির্মাণ শ্রমিকরা রাত্রিযাপন করেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই ছাউনি লক্ষ্য করে পাঁচ-ছয়টি হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় চার-পাঁচটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে নির্মাণশ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক আকরাম হোসেন বলেন, রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। পরে জানতে পারি সেতুর নির্মাণশ্রমিকদের ঘরে কে বা কারা বোমা হামলা করেছে। এ সময় আশপাশের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সেতু নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ব্লাস্ট লিমিটেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মধ্যে সংযোগকারী তেকাল-বেতবাড়িয়া সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। গত দুই মাস ধরে সেতুর কাজ চললেও কোনো বেগ পেতে হয়নি। হঠাৎ করে কেন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাÑ তা নিজেরাও জানতে পারিনি।
তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আনিস জানান, বিস্ফোরণের শব্দ এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে শ্রমিকদের থাকার অস্থায়ী ঘরের টিনের বেড়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো এবং বিস্ফোরিত বোমার আলামত দেখতে পাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছেÑ চাঁদা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি এবং আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স