স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় কংক্রিট ভবনের চেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্টিল স্ট্রাকচার অবকাঠামো। ভূমিকম্প সহনশীল এবং পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। আবাসিক ভবনের পাশাপাশি বাণিজ্যিক বিশেষ করে শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন কলকারখানার অবকাঠামো নির্মাণে বর্তমানে উদ্যোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে এ স্টিল স্ট্রাকচার। এই ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে স্পার্ক স্টিল লিমিটেড নামের একটি কোম্পানী। যা দীর্ঘ ১২ বছর যাবত সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশে স্টিল স্ট্রাকচারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। শুরুর পর থেকে দিন দিন স্টিল স্ট্রাকচার এর চাহিদা বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলেয়ে দেশের পরিবেশ বান্ধব, ভূমিকম্প সহনশীল এর লক্ষ নিয়ে স্পার্ক স্টীল লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। দেশের বেকারত্ব রোধ ও কর্মসংস্থান তৈরি করার লক্ষ্য সহ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ভয়ে আনার জন্য নিরলস প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্পার্ক স্টিল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামীম আহম্মেদ।
এদিকে মেগাপ্রকল্পে স্টিল স্ট্রাকচার শুধু আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ভবনের ক্ষেত্রেই নয়, বর্তমানে সেতু, বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনসহ অন্যান্য মেগা অবকাঠামো নির্মাণেও দিন দিন বাড়ছে স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা। স্টিল স্ট্রাকচারে ভবন নির্মাণ করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ার কারণ হিসেবে স্টিলের ভবন তুলনামূলক বেশি টেকসই ও ভূমিকম্প সহনীয় বলে দাবি করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি প্রচলিত কংক্রিট ভবনের থেকে স্টিল স্ট্রাকচারে ভবন নির্মাণ তুলনামূলক সাশ্রয়ী বলেও জানান তারা। আবাসিকের বদলে অবশ্য দেশের বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে শিল্পকারখানা, ওয়্যারহাউজ, প্যাভিলিয়ন নির্মাণে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে স্টিল বিল্ডিংয়ের ব্যবহার। এর প্রধান কারণ স্টিলের তৈরি বিল্ডিং গুলোতে নিজের পছন্দমতো কলাম স্পেস তৈরি করা যায়। এতে বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি স্থাপন সহজ হয় উদ্যোক্তাদের জন্য। পাশাপাশি কংক্রিটের থেকে দ্রুত এর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত উৎপাদনে যেতে পারেন উদ্যোক্তারা। এদিকে বতর্মান প্রেক্ষপটে স্টিল স্ট্রাকচার ব্যবসায় অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলেও অতি দ্রুত ঘুরে ধারাবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।