ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ , ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০১-২২ ১৭:৫১:১২
রাজশাহীতে বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে বিএনপি’র কর্মী সভায় প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ সেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে



নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে বিএনপি’র কর্মী সভায় মোঃ রানা (৩০) শেখ নামের এক যুবদল কর্মীকে ছুরিকাঘাত করছে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ সৈকত পারভেজ (৩২)। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় মহানগরীর শাহ্ধসঢ়;মখদুম কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রানা, সে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন পঞ্চবটি এলাকার মৃত শাম মোহাম্মদ শেখের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড যুবদল কর্মী ও ২৪ নং ওয়ার্ডের আহবায়ক কমিটির সদস্য পদপ্রার্থী। তিনি বর্তমানে রামেক হাসপাতালের ৪ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারী মোঃ সৈকত পারভেজ (৩২), তিনি রাজশাহী মহানগরীর কালুমিস্ত্রিরমোড় এলাকার বাসিন্দা ও মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক।

আহত রানা জানান, মঙ্গলবার ২৩ নং ওয়ার্ডের শাহ্ধসঢ়; মখদুম কলেজ প্রাঙ্গণে বিএনপি’র মূল দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। আমি ওই কর্মী সভায় দাওয়াত প্রাপ্ত হয়ে সেখানে যাই। এরপর কর্মী সভা চলাকালে সন্ধ্যার দিকে আমার সহকর্মী সজিবকে (৩০) এলোপাথারিভাবে সেচ্ছাসেবক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সৈকত মারধর করে। ওই সময় আমি ফোন বের করে ভিডিও করলে, সৈকত একটি ধারালো ছুরি (টিপ চাকু) বের করে আমার বাম হাতে আঘাত করে। সাথে সাথে আমার হাত থেকে ফোন পড়ে যায়। এর পর দ্বীতিয় বার সে ধারালো ছুরি দিয়ে আমার পেটে আঘাত করতে আসলে আমি বাঁধা দেই। এতে আমার ডান হাতের আঙ্গুল কেটে যায়। এরপর উপস্থিত নেতা-কর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি, আমার দলের সিনিয়ার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে আমার ওপর ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসী সৈকত। আমি জানি না এই সন্ত্রাসী সৈকত এত সাহস পায় কোথা থেকে ?

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র মূল দলের দলে নেতা এ্যাড. এরশাদ আলী ঈশা. নজরুল হুদা, সাফি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনি, বোয়ালিয়া মডেল থানার আহবায়ক নিপু ও আলাউদ্দিন এবং মহানগর যুবদলের নেতা রফিকুল ইসলাম ও শ্যামল ভাইদের সামনে আমাকে ছুরিকাঘাত করে সেচ্ছাসেবক দলের সন্ত্রাসী সৈকত। এরপর তারা আমাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠায়। আমি বর্তমানে রামেক হাসপাতালের ৪ নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছি। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর এ সাগর নামের এক কর্মীকে সে ছুরিকাঘাত করে। এরপর দলীয় প্রভাব ঘাটিয়ে সেটি মিমাংশ করে নেয়। তার নিজ দলের নেতা-কর্মীরাও প্রায়ই নির্যাতিত হয় এই সন্ত্রাসী সৈকতের হাতে। কেউ তার কথার বাইরে গেলেই তার ওপর নেমে আসে অত্যচার, নির্যাতন।

তিনি বিচার চেয়ে বলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের অবিভাবক ও আমারও অবিভাবক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারশন তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার ওপর এই নির্মম ছুরিকাঘাতের বিচার আপনি করবেন বলে আশা করছি। আমরা বিগত দিনে আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত হয়েছি। আর এখনও হচ্ছি। সৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরও তার কিছু আওয়ামী পেটুয়া সন্ত্রাসী বাহিনী থেকে গেছে। তারা বর্তমানে আমাদের দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে অশান্তির চেষ্টা করছে। আপনি এই সকল পেটুয়া বাহিনীর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন বলেও জানান আহত রানা।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ