ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ , ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়োগ বাণিজ্যে ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারপিট

মাসুদ রানা রাব্বানী
আপডেট সময় : ২০২৫-০১-২২ ১৭:৪৫:১৩
নিয়োগ বাণিজ্যে ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারপিট নিয়োগ বাণিজ্যে ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারপিট




মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়-ব্যয়সহ নিয়োগ বাণিজ্যের ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের কথিত অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার হেলালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আওয়ালসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী কথিত অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।

এদিকে এঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে পাওয়া গেছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনা সঠিক নয় দাবি করে বলেন, স্থানীয় কিছু মানুষের প্ররোচনায় কয়েকজন শিক্ষক এবং কর্মচারী আওয়ামী ট্যাগ দিয়ে আমার কাছে প্রায়ই টাকা চান। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দেন। মঙ্গলবার স্কুলে এলে তারা আমাকে মারধর করে স্কুল থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করবেন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের স্কুল ফাঁকি বন্ধে তিনি সকল শিক্ষকে নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত ও ক্লাশ নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই কয়েকজন ফাঁকিবাজ শিক্ষক তার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

অপরদিকে সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আওয়ালসহ কয়েকজন কর্মচারী জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের মোট ২৪ লাখ টাকার কোনো হিসাব কাউকে দেন না। এ নিয়ে গত সোমবার সকালে তার সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মঙ্গলবার তিনি বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করেন। নিরুপায় হয়ে আমরা বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। এদিকে শিক্ষকদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উঠেছে সমালোচনার ঝড়। বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। অভিভাবক ও সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। কারণ যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো পবিত্র স্থানে প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারে, তারা নৈতিকভাবে শিক্ষকতার যোগ্যতা হারিয়েছে, এদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করা সময়ের দাবি। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষকের অপরাধ বা অনিয়ম-দুর্নীতি থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতেই পারে, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা যায় না।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মি আক্তার বলেন, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা এসে আমার কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগসহ মারধরের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ