রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরে বদরগঞ্জে উপজেলা হাসপাতালে এক স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এক নারী স্বাস্থ্য কর্মীকে শ্লীলতাহানি ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে।ঐ পরিদর্শকের নাম আব্দুস সালাম। তিনি সম্প্রতি বদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন। ভুক্তভোগী ঐ স্বাস্থ্য কর্মীর নাম তানজিলা ফারহানা। তিনি রাধানগর ইউনিয়ন পাঠানপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ প্রভাইডার(সিএইচসিপি) হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ নারী স্বাস্থ্য কর্মী সালামের বিরুদ্ধে গত ১৩জানুয়ারী রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ১৮জানুয়ারী জানাজানি হয়।
লিখিত অভিযোগ ও সরজমিন ঘটনাস্থলে যেয়ে জানা যায়, গত ৪জানুয়ারী স্বাস্হ্য পরিদর্শক আব্দুস সালাম আকস্মিক পাঠানপাড়া ক্লিনিকে পরিদর্শনে যান। সেখানে কর্মরত ঐ নারী স্বাস্থ্য কর্মীর হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে।বলেন স্যার আপনি বারান্দায় আসেন। এখানে টেবিলে হাজিরা খাতা আছে এখানে দেখেন স্যার।
পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, হাজিরা খাতাটা আপনি রুমে নিয়ে আসেন। তারপর ঐ নারী হাজিরা খাতা রুমে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে উপস্হিত হাজিরা খাতা দেখার সময় সালাম নারীর বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে।ভুক্তভোগী নারী সালামের হাত সরিয়ে দেয়। আবারও তার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে।
লিখিত অভিযোগে আরো জানা গেছে, সালাম তাকে এক পর্যায়ে কুপ্রস্তাব দেন।ঐ নারী রাজি না হওয়ায় তার ভ্যানটি ব্যাগ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ঐ ক্লিনিক থেকে তিনি চলে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালাম এর আগের কর্মস্হল তারাগঞ্জ একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বিভিন্ন স্বাস্থ্য নারী কর্মীর সঙ্গে।
রাধানগর পাঠানপাড়া গ্রামে সেবা নিতে আসা এক রোগী বলেন, এই আপা অত্যন্ত ভালো।আমাদের ছেলে মেয়ে রোগ হলে এখানে নিয়ে আসলে তিনি ভালভাবে দেখে ঔষুধ দেন।
বদরগঞ্জ হাসপাতালে ফটকের সামনে এক পান দোকানী বলেন, সালাম আমার দোকানে সিগারেট প্যাকেট বাকির কথা বলে নিয়ে যায়। পরে টাকা চাইতে গেলে টাকা দেয়না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস সালাম এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তার উপস্থিত হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত পাওয়া যায় দীর্ঘ দিন। এজন্য তিনি আমার বিরুদ্ধে এধরণের কুৎসা অপবাদ দিচ্ছেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ আশেকুল আরেফিন বলেন, আমি এবিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। শুনেছি ঐ নারী রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: হারুন অর রশিদ বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।