ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ , ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরিশালে চার হাজার একর জমির সেচ প্রকল্প বন্ধের হুমকিতে, বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা

বিশেষ প্রতিনিধি
আপডেট সময় : ২০২৫-০১-১৫ ২৩:১০:০৫
বরিশালে চার হাজার একর জমির সেচ প্রকল্প বন্ধের হুমকিতে, বিপাকে স্থানীয়  কৃষকরা বরিশালে চার হাজার একর জমির সেচ প্রকল্প বন্ধের হুমকিতে, বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা

কে এম সোয়েব জুয়েল,
বরিশালের গৌরনদীতে ৪০০০ চার হাজার একর জমির সেচ প্রকল্পর বন্ধ কেরে দেয়ার হুমকিতে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা। 

ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের সাতটি ও বাটাজোর ইউনিয়নের পাঁচটি বোরো প্রকল্পে সেচ বন্ধ করে দেওয়ার অব্যাহত হুমকির মুখে দুই ইউনিয়নে ১২টি বোরো প্রকল্পের তিন হাজার কৃষকের চার হাজার একর জমিতে বোরোর আবাদ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় হিমসিম খাচ্ছে সেচ প্রকল্পের প্রতিনিধি মোঃ ছানাউল হক মৃধা। 

ছানাউল হক জানায়, দীর্ঘ ১২ বছর যাবত তার (ছানাউল) বাবার ফুপাতো ভাইর ছেলে নলচিড়া ইউনিয়নের স্হানীয় মোঃ মাসুদ মীর বিএডিসি থেকে সেজ প্রকল্প বরাদ্দ নেন কিন্তুু বর্তমান সময় আর্থিক সমস্যার কারনে তার (মাসুদ) আত্বিয় বাটাজোর ইউনিয়নের বাসুদেব পাড়ার ছানাউলকে সেচ প্রকল্প চালানোর জন্য প্রতিনিধি হিসাবে প্রয়োজনিয় কাগজ পত্র হস্তান্তর করেন প্রকল্পের মালিক মাসুদ।

সে মতে ছানউল সেচ প্রকল্পের বকেয়া  ২৭ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ছারাও প্রকল্প চালু করতে প্রয়োজনিয় বৈদ্যতিক সামগ্রিক বাবদ আরো দের লক্ষাধিক টাকা খরচ করে গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ উত্তর সীমানায় আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী পালরদী নদীর স্টিমারঘাট এলাকায় সেচপাম্প বসিয়ে প্রাইমারি প্রকল্পের মাধ্যমে নলচিড়া খাল ও বাটাজোর ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া খালে সেচ প্রকল্প ১৩ জানুয়ারি সোমবার চালু করেন বাটাজোর ইউনিয়নের বাসুদেবপারা গ্রামের কাঞ্চন আলী মৃধার পুত্র ছানাউল হক মৃধা।

অপরদিকে বছার গ্রামের আব্দুল হামিদ সরদারের পুত্র মোঃ জাকির সরদার বিএডিসি থেকে সদ্য প্রকল্পটি বরাদ্দ নিলেও সেখানে সেজ প্রকল্প চালনোর মত সরকারের বেঁধে দেয়া নিতিমালার মধ্যে মিটার স্হাপন মিটার সংযোগের কথা উল্লেখ থাকলেও ১৫ জানুয়ারি বুধবার ঘটনা স্হান পরিদর্শন করে তার কোন সু- ব্যাবস্হার দৃশ্য লক্ষ করা যায় নাই।

তাই জাকিরের ভাই আনোয়ার সরদারের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ সম্পুন্ন ভিত্তিহীন বলে মনে করা হচ্ছেন স্হানীয় মহলের লোকজন। 

ছানাউল অভিযোগ করে বলেন,
জাকির একাধিক মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে থেকে তার ভাই আনোয়ার সরদার সহ একদল ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দিয়া সেচ প্রকল্প বন্ধ করা সহ তাকে মিথ্যা মামলা ও মেরে ফালার বিভিন্ন মহলে হুমকি দিয়ে আসছেন। অব্যহত হুমকির মুখে ছানাউল সহ তার পরিবারের লোকজন আতন্কে দিন কাটাচ্ছেন। এর ফলে কৃষকরা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বোরো উৎপাদন নিয়ে দিধাদন্ধে দিন কাটাচ্ছেন।

অপর দিকে গৌরনদী উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুআনোয়ার হোসেন সরদারের বিভিন্ন মহলে অভিযোগের আলোকে গৌরনদী সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান ১৫ জানুয়ারি বুধবার সরজমিনে ঘটনা স্হান পরিদর্শন করে জাকির সরদারকে সেচ প্রকল্প বরাদ্দ নিলেও সেচ প্রকল্প চালানোর মত সরকারের বেঁধে দেয়া নিতি মালার কোন সু- ব্যাবস্হা লক্ষ করা যায় নাই বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান। তাই বিষয়টি উর্ধতন কর্তীপক্ষের সাথে আলাপ করে সামনের দিকে আগাবেন তারা। ছানাউল হকের চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সম্পুর্ন অস্বীকার করেছেন মোঃ আনোয়ার হোসেন সরদার। অপরদিকে যাতে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সে লক্ষে সরকারের সর্বমহলে সুদৃষ্টি কামনা করছেন ওই এলাকার হাজারের অধিক কৃষক।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ