'একটি জরুরি ঘোষণা' কাউখালী উপজেলা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে রাজনৈতিক নামধারী মাদকাসক্ত, টাউট-বাটপার ও অসাধু কিছু লোক বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় ও প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে মানুষকে মামলা-হামলা ও তদবিরের কথা বলে আর্থিক লেনদেনে লিপ্ত আছেন, যা চাঁদাবাজির শামিল। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কেউ লিপ্ত থাকলে আমাদের অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানানো অনুরোধ করা হলো।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির ও সদস্য সচিব এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ এর নির্দেশনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে তিন দিনব্যাপী পর্যন্ত উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এ মাইকিং করা হয়। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় একটি চক্র বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়, সমন্বয়ক এবং প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে মানুষকে মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী ও হয়রানি করছে। এছাড়া বিভিন্ন তদবিরের কথা বলে সরাসরি বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন হচ্ছে। অন্যদিকে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরাও। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নজরে এসেছে। তাই চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, ও মামলাবাজদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপি। পাশাপাশি জনসাধারণকে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ারও কথা জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচ,এম দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অপকর্ম হয়েছে তা শুধরে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে গণ-মানুষের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কাউখালী উপজেলা বিএনপি বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম বন্ধ ও পুলিশকে সহযোগিতা করতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস,এম আহসান কবির বলেন, জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য আমরা (কাউখালী উপজেলা বিএনপি) এ রকম মাইকিং করছি। কারণ, কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন নামে ও বিভিন্ন পরিচয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা হয়েছে। এর সঙ্গে উপজেলা বিএনপি কোনোভাবেই জড়িত নয়। তাই উপজেলাবাসীকে সাবধান করতে এ ঘোষণা জানিয়েছি।
কাউখালী থানার ওসি সোলায়মান জানান, এ ধরনের মাইকিং আমি শুনেছি। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। তবে চাঁদাবাজ, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।