ঢাকা , শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুলাদীতে খাস জমি বন্ধবস্তে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষিত নদী সিকস্তি পরিবারের


আপডেট সময় : ২০২৪-১২-১৮ ১৭:২২:৪৯
মুলাদীতে খাস জমি বন্ধবস্তে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষিত নদী সিকস্তি পরিবারের মুলাদীতে খাস জমি বন্ধবস্তে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষিত নদী সিকস্তি পরিবারের
 

মুলাদী প্রতিনিধি: বরিশালের মুলাদী উপজেলার পাতারচর গ্রামে সরকারের অকৃষি নীতিমালা অনুযায়ী নদী সিকস্তি ৮টি পরিবার খাস জমি বন্ধবস্ত চাইলে স্থানীয় প্রশাসন তা দেয়ার কথা থাকলেও মুলাদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পাতারচরে নদী সিকস্তি ৮টি পরিবার বার বার আবেদন করা স্বত্তে¡ও অদৃশ্য কারণে তা মুখ থুবড়ে পড়ছে। গত ১৫ই ডিসেম্বর নদী সিকস্তি ৮টি পরিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিতভাবে জানান, আড়িয়ালখাঁ নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হওয়া পাতারচর গ্রামের নদী সিকস্তি ৮টি পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে ২০০৪ সালে নদী তীরবর্তী মহিষগুদি মৌজার, জেএলনং-৬৩, খতিয়ান নং-০১, দাগ নং-৫৮৬, মোট জমি ৫৯ শতাংশ খাস জমিতে গভীর নলকুপ, ঘরবাড়ী নির্মাণ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করে বসবাস করে আসছে এই পরিবারগুলো।

এই পরিবারগুলো বারবার সরকারি বিধি ও ভূমি আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উক্ত দাগের ৫৯ শতাংশ জমির মধ্যে প্রতি পরিবারের ৫শতাংশ করে মোট ৪০ শতাংশ জমি বন্ধবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করে। লিখিত সংবাদ সম্মেলনে নদী সিকস্তি ৮টি পরিবারের পক্ষে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও শহীদ আলতাফ মাহমুদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কছির আহম্মেদ বলেন, গত ১১ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখ রেভিনিউ কালেক্টর বরিশাল থেকে উল্লেখিত বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করলেও স্থানীয় ভূমি অফিস তা কর্ণপাত করছে না।

তিনি আরও উল্লেখ করে ২৭/০১/২০২১৬ইং তারিখ প্রকৌশলী এলজিইডি মুলাদী বধ্যভূমির স্কিম নির্বাচন করেন, যাহার স্বারক নং-২০১৬/৪৭, যেখানে উল্লেখ করা হয় মহিষগুদি মৌজা, জেএল নং-৬৩, এসএ খতিয়াত নং-০১, দাগ নং-৫৮৬, জমির পরিমান ৫৯ শতাংশ, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বধ্যভূমি হওয়ার কথা একই মৌজার এসএ খতিয়ান নং-১২৮, দাগ নং-৫৮৫, জমির পরিমাণ ৩৯ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত জায়গায় বধ্যভূমি না হওয়ায় আমরা নদী সিকস্তি ৮টি পরিবার বারবার আবেদন করা সত্বেও বন্ধবস্ত পাচ্ছিনা। নদী সিকস্তি এসব পরিবারগুলো দাবী জানিয়েছে, সরকারের খাস জমি বন্ধবস্তর নিয়ম অনুযায়ী তারা যাহাতে উল্ল্যেখিত ভূমি বন্ধবস্ত পেতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পরাণ সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ