ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জে বসতঘরে কিশোরকে গলাকেটে হত্যা ! দুই প্রবাসী ভাইয়ের দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ


আপডেট সময় : ২০২৪-১১-২৬ ০১:৫১:৪৮
নবীগঞ্জে বসতঘরে কিশোরকে গলাকেটে হত্যা ! দুই প্রবাসী ভাইয়ের দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ নবীগঞ্জে বসতঘরে কিশোরকে গলাকেটে হত্যা ! দুই প্রবাসী ভাইয়ের দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ


নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পুরানগাঁও এলাকায় মোস্তাকিম মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নারী সংক্রান্ত গোপন ঘটনার জের ধরে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি। তবে পুলিশ বলছে তদন্ত শেষে দ্রুত হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে। গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ মোস্তাকিম মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মোস্তাকিন মিয়া (১৭) উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে। মোস্তাকিম পেশায় রাজমিস্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের মৃত জফর মিয়ার ৫ ছেলের মধ্যে নিহত মোস্তাকিস চতুর্থ, দুই ছেলে প্রবাসী ও অপর দুই ছেলে অন্যত্র কাজ করে। নিজ বাড়িতে মোস্তাকিম তার মা ও প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। রবিবার সন্ধ্যায় মৃত জফর মিয়ার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় জফর মিয়ার স্ত্রী বসত ঘরে প্রবাসী দুই ছেলের দুই স্ত্রী ও ছেলে মোস্তাকিম মিয়াকে রেখে পিত্রালয়ে চলে যান। সন্ধ্যার দিকে নিজ বসতঘরের খাটে মোস্তাকিম মিয়া ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে বাথরুমে যান মোস্তাকিম পরে বাথরুম থেকে নিজ বসতঘরে প্রবেশের পর মোস্তাকিম মিয়ার চিৎকার-চেঁচামেচী শুনে দৌঁড়ে আসেন দুই ভাইয়ের স্ত্রী। পরে খাটের ওপর মোস্তাকিম মিয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তারা।

এ সময় আশপাশের স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মোস্তাকিম মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এদিকে বসতঘরে গলাকেটে কিশোর মোস্তাকিমকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আমীন বলেন, আমরা চেয়ারম্যান সাহেবসহ একটি পাঞ্চায়েতে ছিলাম, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসি ঘটনার সময় বসতঘরে মোস্তাকিম ও তার দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী ছিল। পুলিশ নিহত মোস্তাকিমের দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এ প্রসঙ্গে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিজ বসতঘরে মোস্তাকিম নামে এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, ঘরে তখন শুধুমাত্র দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী ছিল। তিনি বলেন-নারী সংক্রান্ত গোপন কোনো ঘটনাকে কেন্দ্রে করে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেছি এখন বিস্তারিত বলা যাবেনা। হত্যাকাণ্ডের আগে-পরে যারা ঘটনাস্থলে বা আশপাশে ছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব  হবে।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ