গৌরীপুরে পলিনেট হাউজে টমেটোর আবাদ করে লাভবান কৃষক শহীদুল্লাহ

আপলোড সময় : ১২-০৮-২০২৫ ০৫:৪১:৫৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১২-০৮-২০২৫ ০৫:৪১:৫৫ অপরাহ্ন

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পলিনেট হাউজে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করে লাভবান কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ। তাঁর বাড়ি উপজেলার তাঁতকুড়া গ্রামে। তিনি পলিনেট হাউজে টমেটোর আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন এই পদ্ধতিতে টমেটো আবাদের। পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। খুব সহজেই আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও বৃষ্টির পানিকে রোধ করা যায়। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।

জানা যায়, সরকারি সহযোগিতায় কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ তার বাড়ির সামনের ১০ শতাংশ জমিতে পলিনেট হাউজে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ করেন। শীতকালে টমেটোর দাম থাকে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি। এই মওসুমে তার টমেটো বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি দরে। লাল টকটকে ও পোকার আক্রমণ বা কোনো দাগ না থাকায় দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই স্বাদের দিক থেকেও অতুলনীয়। মাত্র ১৮ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদিত টমেটো ১ লাখ টাকা বিক্রি করার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রথম পলিনেট হাউজে ১০ শতাংশ জমিতে তাদের পরামর্শে ও সহযোগিতায় টমেটোর আবাদ করেছেন কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ। রোদ-বৃষ্টির  ঝামেলা ও পোকার আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন এসেছে। বাজারে টমেটোর দামও বেশি।

কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ১০ শতাংশ জমিতে পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে টমেটোর আবাদ করেছি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। আমার ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কোনো প্রকার পোকা আক্রমণ করেনি। এখন ২০০ টাকা কেজি দরে টমেটো বিক্রি করছি। যা ফলন হয়েছে তাতে ১ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন তিনি।  যে কেউ ইচ্ছে করলে কম খরচে এভাবে টমেটো চাষ করতে পারবেন।’

কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী সুমন সরকার বলেন,  এই উপজেলায় আমাদের সহযোগিতায় এই প্রথম পলিনেট হাউজে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। গ্রাফটিং পদ্ধতিতে কাঁটাযুক্ত বেগুন ও বারি-৮ জাতের বেগুন গাছের সঙ্গে কলম করে এই টমেটোর চাষ করায় গাছ ঢলে না পড়ার ফলে টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। মোঃ শহীদুল্লাহ তার ১০ শতাংশ জমিতে ১ হাজার টমেটোর চারা রোপণ করেছেন। একটি গাছও এখন পর্যন্ত নষ্ট হয়নি। এতে কৃষক লাভবান হবেন।

স্থানীয়রা বলেন, ‘কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ’র দেখাদেখি এলাকার অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন টমেটো আবাদের। আমরা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই টমেটো আবাদের মাধ্যমে।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, পলিনেট হওয়ায় এখানে অল্প খরচেই উন্নতমানের চারা ও উচ্চমানের ফসল উৎপাদন করা যায়। এখন বর্ষাকাল বাইরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সবজি উৎপাদন করা যায় না বললেই চলে। কিন্তু এখানে বৃষ্টিপাতের কোন সমস্যা হয়না, আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই ধারাবাহিকতা আমরা কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহকে পরামর্শ দিয়েছি এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করার জন্য।

তিনি মাত্র ১৮ হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদন করেছেন, যা ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এতে তিনি খুবই লাভবান হবেন। বাজারে যে কোলস্টেরলযুক্ত টমেটো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর তুলনায় তার উৎপাদিত টমেটো অনেক পরিবেশবান্ধব। শীতকালে যেখানে টমেটো ২০ টাকার বেশি বিক্রি করা যায়না সেখানে তিনি এখন ২শ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। এতে তিনি অধিক লাভবান হবেন। আশা করি তার দেখাদেখি অনেকেই এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে আগ্রহী হবেন।






 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]