
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সিইসি বলেন, ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিনের ভোটকেন্দ্র বিমুখতার সংস্কৃতি পরিবর্তন করে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আনতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। তিনি বলেন, “আগে অনেকেই ভাবতেন আমি না গেলেও ভোট হয়ে যাবে। এই মানসিকতা বদলাতে হবে। মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে যে তাদের ভোটই ফল নির্ধারণ করবে।”
তিনি জানান, নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তবে জুলাই আন্দোলনের পর যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা করা হবে। সিইসি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে এবং ভোটাররা নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি। ভুয়া বক্তব্য তৈরি ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানোর মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা ঠেকাতে কমিশন বিশেষ মনিটরিং টিম গঠনের পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, যে কথা আমি বলিনি, সেটি আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তি রোধে জনসচেতনতা জরুরি।
সিইসি আরও জানান, এবার প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে পরিবর্তন আনা হতে পারে। কেবল শিক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প অভিজ্ঞ জনবল ব্যবহার করা হবে। প্রশিক্ষণ ও দায়িত্ব বণ্টনে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে।
তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে নিজের ইমানি দায়িত্ব উল্লেখ করে বলেন, আমি এবং আমার সহকর্মীরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করব। সিদ্ধান্ত কারো পক্ষে বা বিপক্ষে গেলে তা কেবল আইন অনুযায়ী হবে, ব্যক্তিগত কারণে নয়।”
সভায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদারের সভাপতিত্বে রংপুর অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও কেন্দ্র নির্ধারণ প্রক্রিয়াও চলমান।