মো: নাহিদুর রহমান শামীম, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি।
মানিকগঞ্জ জেলা সহ টাঙ্গাইল ও সাভারের কিছু হাসপাতাল গুলিতে ডাক্তার খেলছে রুগী নিয়ে আর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ খেলছে ঔষধ নিয়ে। মানিকগঞ্জ সহ টাঙ্গাইল ও সাভার এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলিতে সর জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে ডাক্তার আসে সকাল ১০ টার সময়, রুগী দেখে পরিক্ষা দিয়ে পাঠানো হয় তাদের কমিশন পাওয়া ক্লিনিক গুলিতে।
এরপর, যদি কোন রুগী অন্য জায়গা থেকে পরিক্ষা রিপোর্ট নিয়ে আসে আর একটা পরিক্ষা দিয়ে বসে। তার পরতো নিজের ক্লিনিক তো রুগী দেখেন। হাসপাতালে নার্সদের বেবহার এতো খারাপ, মানিকগঞ্জ জেলা দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলিতে নার্স রাতে ডিউটি করার সময়, মোবাইলে লুডু খেলে, কেউ টিকটক করে, যদি কোন রুগীর আত্মীয় ডাক দেয় তাহলে হাতে কিছু খাওয়া জন্য ৫০ বা ১০০ টাকা দিতে হয়। এছাড়াও কোন রুগী হাতে ইনক্লেয়ার লাগানোর সময় ২০০ টাকা দিতে হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে টাকা নিয়ে সেবা নিতে হয়। হাসপাতালের ঔষধ সংরক্ষণ ও পরিবেশন, বছরে চার বার বা তার বেশি ভাগ ঔষধ আসে সদর জেলা ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এছাড়াও উপজেলা গুলিতে এক নিয়মে ঔষধ আসে। কিন্তু এই ঔষধ আসে একটা লিষ্ট হিসেবে। আর এই লিষ্টটা তৈরি করে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, তবুও ঔষধ থাকেনা।
জানা গেছে, প্রতিবছর ঔষধের টাকা ঘাটতি থাকে, এর মূল কারণ ঔষধের টাকা কর্তৃপক্ষের পকেটে। গত ১০ জুলাই মুনি আক্তার নামের ৬ বছরের শিশু মারা যায় সাপের কামড়ে, এর পর এক মহিলা মারা যায় সাপের কামড়ে। তাদের মৃত্যুর কারণ মানিকগঞ্জ জেলা দুটি হাসপাতালে নেই আন্টিভেনো। শুধু মানিকগঞ্জ জেলায় না টাঙ্গাইল ও সাভার এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলি নাই আন্টিভেনো।
এই দুই মাসে আসেনি আন্টিভেনো, এর কারণ জানার চেষ্টা করলে উত্তর আসে সরকারি অনুমোদন দিলে আসবে, আবেদন করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ যেমন ঔষধ নিয়ে খেলছে, ডাক্তার তেমন রুগী নিয়ে, আর এই হাসপাতাল গুলি একটা মৃত্যুর ফাঁদ, ডুকলে যেন বিপদ। তাহলে এতো বড় হাসপাতাল দরকার কি প্রশ্ন? নিয়মনিতি ছাড়া সব কিছু আছে, রুগী সেবা নামে তাদের দেওয়া হচ্ছে না সেবা। এটাই স্বাধীনার নাম।