মাদ্রাসার বেতন দিতে না পাড়ায় শিক্ষার্থীকে পরিক্ষা থেকে বের করে দিলো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

আপলোড সময় : ০২-০৮-২০২৫ ০৮:০৮:৩৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-০৮-২০২৫ ০৮:০৮:৩৪ অপরাহ্ন
 
নাদিম হায়দার বিশেষ প্রতিনিধি। 
 
মাদ্রাসার বেতন দিতে দেরি হওয়ায় পরিক্ষা দিতে দিলোনা মাদ্রাসার কতৃপক্ষ। উক্ত ঘটনায়, ক্ষোভে ফুসছে অত্র এলাকার জনসাধারণ। এমন ঘটনাই ঘটছে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া, মাদ্রাসায়।


গত ৩১ জুলাই আরিফ বেপারী (১৭) পিতা সুমন বেপারীর ছেলে পরিক্ষা দিতে গেলে বেতন পরিশোধের কথা বলে ২০ মিনিট আগে তাকে বের করে দেয় অত্র মাদ্রাসার বড় হুজুর শিক্ষোক হাফিজ মোঃ রহমান তিনি জানান, ৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে আগে তোর বাবা বেতন পরিশোধ করবে তারপর পরিক্ষা। কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ তার বাবা সুমন বেপারী কে বিষয় টি অবগত করলে সুমন মাদ্রাসায় গিয়ে ছেলের পরিক্ষা দেবার জন্য সুযোগ চেয়ে আকুতি-মিনতি করে।


বলে আমাকে ছয় দিনের সময় দেন এই ছয় দিনের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করবো কিন্তুু তার কথায় মন গলেনা মাদ্রাসা কতৃপক্ষের। পরিক্ষাটি তে অংশ গ্রহণ থেকে বিরত রাখে শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও শিক্ষার্থী আরিফ তার পড়নের জন্য পায়জামা আনতে গেলে রহমান হুজুর বলেন, আগে বেতন দে তারপর বেডিং-পত্র নিয়ে যাবি। 


এ বিষয়ে নুরানীয়া হাফেজিয়া মাহামুদীয়া মাদরাসা বড় হুজুর হাফেজ মোঃ রহমান বলেন, আরিফের সাত মাসের বেতন বকেয়া তাই ওকে পরিক্ষা থেকে বিরত রেখেছি বেতন পরিশোধ না করলে মাদ্রাসা চলবে কি করে বলেন? জামা কাপড়ের কথা জিজ্ঞেস করলে রহমান হুজুর বলেন ছেলেটি মিথ্যা বলছে এটা আরিফের বাবা শিখিয়ে দিয়েছে। 

 
উক্ত ঘটনায় সিরাজদিখান মোস্তফাগঞ্জ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল গাফফার বলেন, বকেয়া বেতনের জন্য পরিক্ষা থেকে বিরত রাখা অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ করেছে রশুনিয়া বাজারের মাদ্রাসা এটা করা তাদের উচিৎ হয়নি মাদ্রাসা কমিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবক কে সময় দিতে পারতেন এটা ঠিক হয়নি। 

 
এ বিষয়ে সিরাজদিখান নেছারাবাদ মাদ্রাসার সুপার ও সিরাজদিখান উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা মোঃ হাসান জানান, উক্ত ঘটনায় আমরা লজ্জিত। মাদ্রাসার আচরণ যদি হয় এমন তাহলে অভিভাবকরা মাদ্রাসা বিমুখ হয়ে যাবে। আমি অবশ্যই বলছি শিক্ষার্থীর সাথে অন্যায় হয়েছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ উচিৎ করেননি।

 
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এই মাদ্রাসায় আমরা সবাই সাহায্য করি প্রতি বছর আমাদের জাকাত-ফেতরা থেকে শুরু করে টাকা পয়সা অনুদান করি অথচ আজ টাকার জন্য একটা শিক্ষার্থীকে পরিক্ষা থেকে বঞ্চিত করলো মাদ্রাসা থেকে বের করে দিলো তাহলে মাদ্রাসার প্রতি আমাদের নজর রেখে লাভ কি? টাকাই যদি তাদের সবকিছু হয় তাহলে মাদ্রাসা বিমুখ হয়ে যাবে এ অঞ্চলের জনসাধারণ। ঘটনাটি উচিৎ করেননি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আমরা এঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। 




 

সম্পাদকীয় :

প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ গোলাম মাওলা শাওন
মোবাইল : ০১৭১১-০০৬২১৪

অফিস :

প্রধান কার্যালয় : ৩১/১ শরীফ কমপ্লেক্স ৫ম তলা পুরানা পল্টন ঢাকা ১০০০

মোবাইল : ০১৯৯৯-৯৫৩৯৭০

ই-মেইল : [email protected],  [email protected]