টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজারের পান ব্যবসায়ী বিষ্ণুপদ সাহা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি কিস্তিতে চৌড়ঙ্গির ওয়ালটন প্লাজা থেকে প্রায় ৩২ হাজার টাকার একটি মোবাইল ক্রয় করেন তিনি। কিন্তু চার কিস্তি পরিশোধ করার পর ৫ মে অসুস্থতাজনিত কারনে মারা যান বিষ্ণুপদ।
এমন পরিস্থিতিতে "কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি'র আওতায় নগদ আর্থিক সহায়তা করে মৃত গ্রাহকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চৌড়ঙ্গির মোড়ের ওয়ালটন প্লাজা কার্যালয়ে মৃতের স্ত্রী শান্তি লতা সাহার হাতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, ওয়ালটন কতৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসময় ওয়ালটন প্লাজার ডিভিশনাল ৮'র ক্রেডিট ম্যানেজার শাহানুর আলম, ফরিদপুরের ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান জোয়ারদার, টুঙ্গিপাড়া শাখার ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম হাওলাদার সহ মৃত ক্রেতার স্ত্রী, সন্তান সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ালটন প্লাজার টুঙ্গিপাড়া শাখার ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সাত হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ছয় মাসের কিস্তিতে প্রায় ৩২ হাজার টাকার একটি মোবাইল ক্রয় করেন পাটগাতী বাজারের পান ব্যবসায়ী বিষ্ণুপদ সাহা। তিনি চার কিস্তি পরিশোধ করার পর গত ৫ জুন অসুস্থতা জনিত কারণে মারা যান তিনি।
কিছুদিন পর বিষয়টি আমরা জানতে পেরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন ওয়ালটন প্লাজার 'কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতি'র আওতায় তাদের বাকি ১৩ হাজার টাকা কেটে রেখে নগদ ৩৭ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। কিস্তিতে পণ্য কিনে কেউ মারা গেলে তার পরিবারকে আর কোনো দায় নিতে হয় না। আমরা চাই দেশীয় পন্য ওয়ালটন থেকে ক্রেতারা যেন সর্বোচ্চ সেবা ও সুবিধা পান।
নগদ টাকা পেয়ে মৃত বিষ্ণুপদ সাহার স্ত্রী শান্তি লতা সাহা বলেন, মোবাইল কেনার কয়েকদিন পর ওয়ালটন একটি কার্ড দিয়েছিলো। স্বামী মারা যাওয়ার পর আমরা কেউ তাদের বিষয়টি জানাইনি। পরে তারা জানতে পেরে আমাদের আর্থিক সহায়তা করেছে। মোট ৫০ হাজার টাকার মধ্যে তাদের পাওনা ১৩ হাজার টাকা কেটে রেখে ৩৭ হাজার টাকা দিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ, তাই এই টাকা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।
ওয়ালটন প্লাজার ডিভিশনাল ৮'র ক্রেডিট ম্যানেজার শাহানুর আলম বলেন, কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষা নীতির' আওতায় একজন ক্রেতা মারা গেলে তার পরিবার ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ও ক্রেতার পরিবারের সদস্য মারা গেলে ২৫ হাজার টাকা দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পেয়ে থাকেন। পণ্যের বাকি কিস্তির পরিমাণ সমন্বয় করার পর বাকি টাকা ক্রেতার পরিবারকে সহায়তা করা হয়। এভাবেই ওয়ালটন প্লাজা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।