রাহাদ সুমন, বরিশাল ব্যুরো।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুরে লিটন সিকদার লিটু নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন মুন্নি আক্তার ও সুমন। আহতদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যার পর কাশীপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিল্লাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন ওই এলাকার মৃত নজের শিকদারের ছেলে। আতরা সম্পর্কে ভাই-বোন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, লিটনের নেতৃত্বে নিরাপত্তাকর্মী জাকির গাজীকে ৪ দিন আটকে রেখে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় জাকিরের স্ত্রী মুন্নি ও তার শ্যালক সুমন জড়িত ছিলেন। সেই ঘটনার জের ধরে জাকিরের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর কয়েকজন মিলে লিটনকে পিটানো শুরু করে। তাকে বাঁচাতে আসলে মুন্নি ও সুমনকে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে লিটন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। বাকি দুইজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য- গত ২৩ জুলাই বেরানোর জন্য শ্বশুর বাড়িতে যান জাকির গাজী। সেখানে যাওয়া মাত্রই তার স্ত্রী মুন্নি বেগম ও শ্যালকরা তাকে আটকিয়ে নগদ টাকা, জমি ও ব্যাংক চেক দিতে বলে এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর ৪ দিন সেই বাড়িতে আটকে রেখে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এমনকি ৪ দিনে তাকে কিছু খেতেও দেয়নি তারা।
এতেও, তিনি রাজি না হলে অভিযুক্তরা পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় ও কারেন্ট শক দিয়ে নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, খালি স্ট্যাম্পে ও চেকে সই নেয়। এরপর গত ২৭ জুলাই জাকিরের পরিবার ৯৯৯ এ কল করলে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো: জাকির সিকদার বলেন- গত ২৭ জুলাই ৯৯৯ এ কলে লিটনের বাড়ি থেকে নিরাপত্তাকর্মী জাকির গাজীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আজ রাতে লিটনের মৃত্যু খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।